Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন : আমার ছোট বোন এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে প্রায় আট বছর আগে মারা যায়। সন্তানরা ছোট থাকায় ও তাদের বাবা ভরণপোষণে অক্ষম হওয়ায় আমি আমার কাছে এনে তাদের লালন পালন করছি। প্রশ্ন হচ্ছে, বোনের ওয়ারিশের কী হবে? তাদের সন্তানদের বা তাদের বাবাকে তা দিতে হবে কিনা?

সাইফুল ইসলাম,
আবুধাবী প্রবাসী।

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২০ এএম

উত্তর : আপনার বোনের ওয়ারিশ সর্বাবস্থায় দিতে হবে। আপনি যদি মামা হিসেবে কোনো বিনিময় ছাড়াই এ চার সন্তানের দায়-দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা রাখেন এবং খুশি মনে তা করে থাকেন, তা হলে এতে আপনি এতিম পালন। আত্মীয়তার হক আদায়সহ বহু রকমভাবে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হবেন। আর যদি মনে করেন তাদের মায়ের, অর্থাৎ আপনার বোনের সম্পত্তি থেকে এসব করছেন, সেটাও পারেন। তবে সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করে আলাদাভাবে তাদের পেছনে কৃত সমস্ত ব্যয়ের সাথে সমন্বয় করতে হবে। যদি ব্যয়ের পরও সম্পত্তি থেকে যায়, তা হলে তা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। আর যদি সম্পত্তির চেয়েও আপনার ব্যয় বেশি হয়ে যায়, তাহলে আর তারা সম্পত্তি পাবে না। বাড়তি খরচটুকু তাদের প্রতি ইহসান বা মামার অনুগ্রহ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য হবে। তবে মনে রাখতে হবে, সঙ্গতি থাকলে তাদের লালন-পালন ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় নিজ থেকে করতে পারা খুব বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। হাদিস শরিফে স্পষ্ট বলা আছে। নবী করিম সা. বলেন, ‘আমি ও এতিমের লালন-পালনকারী জান্নাতে এভাবে পাশাপাশি থাকব (নবী সা. তখন দু’টি আঙ্গুল একসাথে মিলিয়ে দেখান, এভাবে)।’ যদিও এরা পিতা বেঁচে থাকায় বাস্তব অর্থে এতিম নয়, কিন্তু দরিদ্র ও অসহায় তো বটেই। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এতিমও বলা চলে। অপর হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি তিনটি/দু’টি/এমনকি একটি মেয়েকে লালন-পালন, সুশিক্ষা ও উত্তম স্থানে পাত্রস্থ করবে, সে অবশ্যই জান্নাতি।’ এটি নিজের মেয়ের ক্ষেত্রে, আর যদি মেয়েগুলো অন্যের হয়, আর কেউ ইহসান করে তাদের এই সেবাটুকু করে তা হলে সে তো আরো বড় জান্নাত পাবে। যা ইনশাআল্লাহ আপনার ভাগ্যে জুটেছে। এখন আপনি ইচ্ছা করলে নিজ তহবিল থেকেও এসব করতে পারেন। প্রয়োজনে তাদের সম্পত্তি থেকেও পারেন, অথবা ইনসাফের সাথে এ দু’য়ের সমন্বয়ও করতে পারেন। তাদের পিতা অর্থাৎ আপনার ভগ্নিপতির অংশটি ব্যয় করা নিয়েও আপনাকে এ আলোকেই ভাবতে হবে। সিদ্ধান্ত আপনার ওপর।

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • সাইফুল ইসলাম ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:২৫ এএম says : 0
    আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিধান প্রধান করুন আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ. আমার করণীয় অনেক সহজেই জানতে পারলাম.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন :

৩ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ