পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডলার ও ইউরোসহ বৈদেশিক মুদ্রা জাল ও পাচারকারী ২০টি আন্তর্জাতিক চক্র সক্রিয় রয়েছে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে। আফ্রিকার ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও কঙ্গোর নাগরিক ছাড়া ওই চক্রের সাথে সক্রিয় রয়েছে অর্ধশত বাংলাদেশী নাগরিক। বিভিন্ন দেশে সক্রিয় রয়েছে এদের এজেন্ট। ওই চক্রের সদস্যরা চোরাকারবারি ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের সহায়তায় জালনোট বিনিময় ও প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে।
গত ৩১ অক্টোর বুধবার রাতে রাজধানী উত্তরা থানাধীন হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে প্রতারণা চক্রের সদস্য আবুল হোসেন ওরফে পঙ্কজ শর্মা (৪২) ও ক্যামেরুনের নাগরিক এলেক্স টেনে ওরফে পেট্টিক (৪৫) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কেনিয়া ও নাইজেরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের বাংলাদেশি চার প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করেছিল। চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা কেনিয়া ও নাইজেরিয়ায় পাচার করার তথ্য পায় গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এসব জালিয়াত ও প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রথমে মেইলে বাংলাদেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডলার বা ইউরোসহ বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার প্রস্তাব দেয়। যখন কেউ তাদের সঙ্গে ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করে, তখন তারা কালো ডলার বিশেষ কেমিক্যাল দিয়ে পরিষ্কার করে দেখাত। এছাড়া কালো কাগজের সাথে আসল ইউরো মিশিয়ে মেশিনের ভেতর রাখলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে আসল ইউরো। এ ব্যবসায় আয় করা যাবে অনেক টাকা। এমন প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করছে দেশি-বিদেশি যৌথ প্রতারক চক্র। তাদের তৈরি জালনোট এতটাই সু² যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ধরা কঠিন। এদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলে দ্রুত বেরিয়ে এসে আবারো প্রতারণায় সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওই চক্রের সাথে এটিএম কার্ড জালিয়াতি, ই-মেইল হ্যাকিং ও, মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িত চক্রের সদস্যরা রয়েছে। এদের সাথে দেশের বাইরের ও ঢাকার কিছু অপরাধীর যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উত্তর) মশিউর রহমান জানান, তিন-চার মাস আগে ব্যবসায়িক কাজের জন্য হোটেল লা মেরিডিয়ানে যান ব্যবসায়ী রুহুল আমিন। সেখানে আবুল ও এলেক্সের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আবুল, এলেক্স, মাইক ও পিটার সুযোগ বুঝে রুহুলকে বুঝায় মুরগির ফার্ম, গরুর খামার ও তেলাপিয়া মাছের ফিসারিতে অনেক লাভ হবে। এই মুরগি, গরু ও তেলাপিয়া মাছ ক্যামেরুন নিয়ে যাওয়া হবে এবং ব্যবসায় অনেক টাকা আয় হবে বলে রুহুলকে প্রলোভন দেখায়। এ ছাড়াও তারা মেশিনের মাধ্যমে কালো কাগজের সাথে আসল ইউরো মেশিনের ভেতর রাখলে আসল ইউরো তৈরি হবে বলে প্রলোভন দেখায়। এ ব্যবসায়ে অনেক টাকা আয় করা যাবে। পরে গ্রেফতার আসামিরা বিভিন্ন সময় নিত্য নতুন দামি গাড়ি নিয়ে রুহুলের বাড়ি যায় এবং ব্যবসা বিষয়ে আলোচনা করে। তারা প্রতারণার ফাঁদে ফেলে রুহুলের কাছ থেকে তিন দফায় ৯৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ২৮ অক্টোবর বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন রুহুল আমিন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থানাধীন হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে আবুল ও এলেক্সকে গ্রেফতার করা হয়। এদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতারণা মামলায় মাইক ও পিটার নামে দুই প্রতারক পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।