পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতার মধ্যেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সুযোগ রেখে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
ব্যালট পেপারে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটের পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে সংশোধিত আরপিও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ, ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বিষয়টিও আরপিওতে যুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে তা সংসদে তুলে পাস করার মতো যথেষ্ট সময় না থাকায়, আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের আপত্তির মুখে গত ৩০ শে অগাস্ট আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ৩রা সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে আইন সংশোধনের জন্য আরপিও প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, এখন যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। তা সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত খেলাপী ঋণ পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে প্রার্থীদের খেলাপী ঋণ পরিশোধ করতে হত এবং মনোনয়নপত্র জমা দিতে হত হাতে হাতে। শফিউল আলম বলেন, ইভিএমের ‘অপব্যবহার’ করলে সর্বনিম্ন তিন বছর এবং সর্ব্বেচ্চ সাত বছর কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ইভিএম নিয়ে শঙ্কা দূর করার জন্য ডিটেইল আউটলাইনে সেফটি মেজারগুলো আইনে বলে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ৭২.২৯% বাস্তবায়ন
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেওয়া ৭২ দশমিক ২৯ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক দশমিক ৪৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৮ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০টি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৮৩টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৬০টির, ২৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭২ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে নয়টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ৮০টি, যার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৫৯টি। আর ২১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। বাস্তবায়নের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শফিউল জানান, এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), তিনটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছে। আর সংসদে পাস হয়েছে ২৯টি আইন। আর ২০১৭ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সাতটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছিল। ওই সময়ে সংসদে ছয়টি আইন পাস হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।