Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার ৭ বছর কারাদন্ড

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

মালেক মল্লিক | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১২ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারর্পাসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এই মামলায় চার আসামির মধ্যে অপর তিনজনকে একই দন্ডে দন্ডিত করা হয়। একই সাথে এই ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ভবিষ্যতে যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার কেউ না করে এ বিষয়ে সর্তক করে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভবিষ্যতে কেউ যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার না করে, তার জন্য আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থেকে অর্থ আত্মসাৎ কাম্য নয়। রায়ের ১৫টি বিষয় বিবেচনায় নেন আদালত। রায় ঘোষণার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই রায় প্রত্যাখ্যান করে ‘ফরমায়েশি রায়’ হিসেবে অবিহিত করেছেন। ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান গতকাল সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এদিকে রায়কে একতরফা বলে আখ্যায়িত করে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, সরকারের হস্তক্ষেপে এই সাজা দেয়া হলো। রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তাদের বক্তব্য- আমরা সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি। জিয়া অরফানেজ মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় আট মাসের মাথায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় রায় দিলেন নিন্ম আদালত।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলা নিয়ে লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর নিন্ম আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও বিএনপির নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম।
গত ১৬ অক্টোবর মামলার সকল কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে রায়ের জন্য এই দিন ঠিক করেন। রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালতে রায়ের সময় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজলসহ আরো কয়েকজন প্রসিকিউটর। দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খানকে হাজির করা হয়। বিচারক এজলাসে আসার আগেই বেলা ১১টার দিকে আসামিদের কাঠগড়ায় তোলা হয়। ১১টা ২২ মিনিটে এজলাসে ঢোকেন বিচারক। শুরুতে দুদকের আইনজীবী আপিল বিভাগের আদেশটি আদালতকে জানান। এরপরও বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। বিচারক বলেন রায়টি বেশ বড়। আমি মাত্র সারসংক্ষেপ পড়ছি। বিচারক তার চার শতাধিক পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পড়ে শোনান। ১৫টি বিষয় বিবেচনা করে তিনি আসামিদের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনার সময় খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ পদে আসীন থেকে তিনি জনগণের অর্থের অপব্যবহার করেছেন। তাই তার সর্বোচ্চ সাজা হওয়া প্রয়োজন। আর এ জন্য তাকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর কারাদন্ডে দন্ডিত করা হলো যেন এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন আদালত। আর্থিক ক্ষতির ব্যাপারে সহযোগিতার দায়ে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় হারিছ, জিয়াউল ও মনিরুলকে দন্ড দেয়া হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে খালেদা জিয়া অবৈধভাবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তহবিল গঠন করে নজির স্থাপন করেছেন। তার কখনো কাম্য হতে পারে না। ভবিষ্যতে আর যেন কেউ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এভাবে দুর্নীতি করতে না পারেন, এ জন্য তাঁর কঠোর শাস্তি হওয়া জরুরি।
মামলার ১৫ বিবেচ্য বিষয়:
এ মামলার ১৫টি বিবেচ্য বিষয় প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত । এ মামলার প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো খালেদা জিয়া ট্রাস্ট গঠন করেন কি না? রায়ে আদালত বলেন, দুদক সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করেছে, খালেদা জিয়া তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। মামলার প্রধান বিবেচ্য বিষয় ছিল, ক্ষমতার অপব্যবহার করে খালেদা জিয়া ট্রাস্টের তহবিলে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার জমা করেন কি না? আদালত রায়ে বলেন, দুদক সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করেছে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অন্য তিন আসামির সহায়তায় ট্রাস্টের নামে অবৈধ তহবিল সংগ্রহ করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে তাঁর তৎকালীন সেনানিবাসের বাড়ির ঠিকানায় নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়া, তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হয়েও চ্যারিটেবল কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি। বরং নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত সময়ে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করেন। অর্থ পরিচালনায় দায়িত্বরত থেকে ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ব্যয় করেন তাঁর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং মনিরুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় ৬ শহীদ মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করেন খালেদা জিয়া। তিনি ট্রাস্টের কাজে তাঁর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের এপিএস ও অন্যদের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহ করে লেনদেন করেন। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা গ্রহণ ও খরচসংক্রান্ত প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতার অভাব দেখা গেছে।
হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ:
খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত সব টাকা নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে তাঁর এপিএস জিয়াউল ইসলাম এবং সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খানের সহায়তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমি কেনার জন্য টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন।
জিয়াউল ইসলাম মুন্না বিরুদ্ধে অভিযোগ:
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না বিভিন্ন সময় পে-ইন স্লিপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমা করেন। হারিছ চৌধুরীর নামে অন্য যেসব পে-অর্ডার আসে, তাও তিনি জমা রাখেন। এসব পে-অর্ডার ও নগদ টাকা তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁরই নির্দেশে অবৈধ টাকা দিয়ে অপরাধ করেছেন।
মনিরুল ইসলাম খানের অভিযোগ:
সাদেক হোসেন খোকার সহকারী একান্ত সচিব প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পে অর্ডার করার জন্য এ এফ এম জাহাঙ্গীর সাহায্যে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় যান। পাঁচটি পে অর্ডারের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সংগৃহীত ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে দন্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য:
জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের কারাদন্ডাদেশের রায়কে একতরফা বলে আখ্যায়িত করেছেন খালেদা জিয়া আইনজীবী সানাউল্লাহ্ মিয়া। তিনি বলেন, এগুলো সব এক তরফা রায়। এই এক তরফা রায়ের বিষয়ে কী করবে না করবে সে বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, এটা প্রাইভেট ট্রাস্ট। এখানে সরকারের কোনো টাকা নেই, এটা মামলাই হয় না। আজকে জোর করে সাজা দেয়া হয়েছে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে এই সাজা। এর বাইরে এ মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারবোনা। তিনি বলেন, সেটা এ মূহূর্তে বলতে পারবো না। রায় পাইনি এখনো। রায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলা চলাকালীন সময়ে যা যা করা প্রয়োজন ছিল, বিএনপির আইনজীবীরা সবই করেছেন। যদিও এটি তাদের অধিকার ছিল। তারা সবই করেছেন। সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা আসামির সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে পেরেছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৫ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ লুট করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতো শীর্ষ পদে থেকে এ টাকা আত্মসাৎ চরম অন্যায়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ভবিষ্যতে যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার কেউ না করেন,আদালত এ বার্তা দিয়েছেন।
মামলার বিচারকার্যক্রম:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিন্ম আদালত পাঁচ বছরের সাজা দেন খালেদা জিয়া। সেদিনই তাকে পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • তমা ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:১৬ এএম says : 2
    আদালতের রায়, এটা নিয়ে কিছু বললে আবার সমস্যা। তাই চুপ চাপ দেখছি আর শুনছি
    Total Reply(0) Reply
  • বৃষ্টি ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:১৭ এএম says : 2
    খালেদা জিয়া আইনজীবী সানাউল্লাহ্ মিয়া সাহেবের কথাগুলো আমার কাছে সঠিক ও যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • সালমান ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:১৮ এএম says : 1
    আমরা সাধারণ মানুষ কিছুই বুঝতেছি না।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:১৬ পিএম says : 0
    একটা প্রবাদ বাক্য সেটা হচ্ছে ‘আইন তার নিজের গতিতে চলে’। যদিও এই প্রবাদ এখন বিতর্কিত তারপরও এই প্রবাদটা ব্যাবহার করা হচ্ছে এটাই সত্য। এখানে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে তারপরও আরামের সাজা মানে ঘরে শুয়ে থাকা এবং চাইলে কাজও তিনি করতে পারেন। মানে নিজের কাজ নিজে করে সতেজ থাকার প্রচেষ্টা করা। কিন্তু তিনি যেহেতু আরাম প্রিয় বিলাশী জীবন যাপনে অভ্যস্থ তাই তার জন্যে নিজের পছন্দের পরিচারিকাও রাখা হয়েছে জেল খানায় একজন নিরপরাধ মহিলাকে খালেদা জিয়ার আরামের জন্যে। খালেদা জিয়া এতিমদের জন্যে বিদেশীদের পাঠানো টাকা দেশের আইন অনুযায়ি বিতরণ করবেন। তিনি সেটা না করে তার নিজের বাসভবন (সেসময়ের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) দেখিয়ে সাথে সাথে জিয়ার নামে দুটি সংগঠন তালিকা ভুক্ত করে বিদেশ থেকে পাওয়া অনুদান ভাগ করে দুই সংগঠনকে টাকাটা দিয়ে দেন। এরই বিচারে একটিতে তিনি ৫ বছর অপরটিতে ৭ বছর সাজা পেলেন এটাই সঠিক বিচার হয়েছে। আল্লাহ্‌ কখনো অন্যায়কারিকে সাহায্য করেন না এটাই আল্লাহ্‌র বিধান। কাজেই খালেদা জিয়ার সাজা ওকালতি মারপেচের কারনে দেরী হলেও ইসলামিক বিধান মতে সঠিক বিচার হয়েছে এটা মানতেই হবে। আল্লাহ্‌ কঠিন বিচারক এটাই মহা সত্য। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ