পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের গিরিদ জেলা। বাবা-মা-স্ত্রীসহ সেখানেই বাস করেন দীলিপ যাদব। একটি ছোট গরুর খামার আছে তাদের। আর সেখান থেকে বিক্রি হওয়া দুধই পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। খামারের গরুগুলোকে রোজ প্রচুর পানি পান করাতে হয়। কিন্তু গত ডিসেম্বর থেকে অনাবৃষ্টির কারণে খরা উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ঝাড়খ-। পশু তো দূরের কথা, মানুষের জন্যই পানি পাওয়া দুষ্কর।
এমত অবস্থায় কিছুদিন আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে ৭৫ হাজার রুপি ধার করেন দীলিপ। ভেবেছিলেন, এই টাকা দিয়ে গ্রামের বাড়িতে গভীর কূপ খনন করে পরিবারের পানির সমস্যা দূর করবেন। কিন্তু ৭০০ ফুট পর্যন্ত খনন করার পরও পানির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।
দীলিপের বাড়ির আশপাশে যে চাপকলগুলো আছে, সেগুলোও বেশ আগেই শুকিয়ে গেছে। পুরো এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণ পানির প্রবাহ আছে এমন নদীও নেই। গ্রামের একমাত্র কূপটি পানির উৎস, যা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
গত সোমবার সকালে ৭০০ ফুট গভীর খনন করার পরও কূপটি থেকে পানি নির্গত হচ্ছিল না। দীলিপের বাবা নরেশ গোপ বলেন, ‘দীলিপ আমার কাছে জানতে চায়, পানি পাওয়া গেছে কি না? আমি তাকে জানাই যে পাওয়া যায়নি। সে রেগেমেগে তার মোবাইল ফোনটি মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে যায়।’
এর পর পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, রাগ ঠান্ডা হলে ফিরে আসবের দীলিপ। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ার পরও যখন তিনি ফিরে এলেন না, তখন দুশ্চিন্তা শুরু হলো পরিবারের সদস্যদের। এর পর দীলিপকে খুঁজতে শুরু করলেন তারা।
মঙ্গলবার ভোরে গ্রামের এক কিশোরী পানির সন্ধানে যখন ওই কূপের কাছে গেল, তখন কূপের ভেতরে তার চোখে পড়ে দীলিপের মরদেহ। পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে যে কূপ খুঁড়ে পানি বের করতে চেয়েছিলেন, সেই কূপে ঝাঁপ দিয়েই নিজের জীবন বিসর্জন দিলেন দীলিপ। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।