Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইসির প্রজ্ঞাপন জারি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:০৫ পিএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতের ইসলামী বাংলাদেশের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণার পাঁচ বছর পর এ দলটির বিষয়ে এমনই পদক্ষেপ নিলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি। এর ফলে দলটি দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আপিল বিভাগে দলটির পক্ষ থেকে আপিল আবেদন থাকায় এতদিন নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেনি কমিশন। সম্প্রতি কমিশন মনে করেছে, আপিল আবেদন হলেও তা স্থগিত না থাকায় হাইকোর্টের রায় প্রতিপালনে কোনো বাধা নেই, তাই দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়া গিয়েছে। ওই রায়ের প্রতিপালন করতেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে। ইসির কয়েকজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হয়েছে। দলটির বিরুদ্ধেও রয়েছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ। আইন করে দলটি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ার মধ্যে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করলো।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি সংগ্রহ করে ইসির আইন শাখা। ওই রায়ের ভিত্তিতেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার অনুমোদন চেয়ে কমিশনে ফাইল তোলা হয়। এরপরই তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারি মুদ্রণালয়ে পাঠানো হয়। ইসির প্রজ্ঞাপনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর ৬৩০/২০০৯ এর প্রদত্ত রায়ে আদালত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯০(এইচ) এর উপধারা ৪ অনুযায়ি নিবন্ধন বাতিল করা হলো। ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন পেয়েছিল। নিবন্ধন নম্বর-১৪। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন ব্যক্তি। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করেন। এরপর ২০১৩ সালের বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
উল্লেখ্য জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেছিল জামায়াত। ওই আবেদন এখন পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা হয়নি।

 



 

Show all comments
  • Zabed ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:৩৩ এএম says : 0
    Ora jodi oporadi hoe sasti dao.pakistani hoe patie dao.a desher hoe suddo hote time dao. Mone hoe valo hote pare.এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ