পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক হত্যাকা- নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবারো বললেন, দেশে আইএসের কোনো আস্তিত্ব নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামাড়বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউশনে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন তিনি। জঙ্গিবাদ দমনে সচেতনতা তৈরির জন্য পুলিশের সাম্প্রতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সম্প্রীতি সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ঈমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, শিয়া মুসলিম নেতা মাওলানা সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী, মাওলানা আতাউল্লাহ, গোলাম মাওলানা নকশবন্দি, আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও, রামকৃঞ্চ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেষানন্দ মহারাজ, শ্রী সত্যেন্দ্র নাথ, ওবায়দুর রহমান খান নাদভী, বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়ুয়া এবং বিভাগীয়, জেলা পর্যায় থেকে আগত হাজারো বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে তাতে দেশের ভেতর জঙ্গিরা এ কাজ করে চলেছে মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই তবে জঙ্গিবাদী তৎপরতা আছে। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। এর আগে সচিবালয় এবং জাতীয় সংসদে একই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো পুলিশ প্রধান শহীদুল হকও মনে করেন, এসবই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে না লিখতেও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে পুলিশের আইজি বলেন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। জুলহাস হত্যার তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আগ্রহের বিষয়ে ইংগিত করে পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশে সরকার, পুলিশ, প্রশাসন থাকার পরও অনেক দেশ ‘মায়া কান্না’ দেখিয়ে ‘কাছে আসতে’ চায়, যেমনটা সিরিয়া, ইরাকের মতো দেশে ঘটেছিল।
শহীদুল হক বলেন, আমরা যে দেশে বসবাস করি, আমার দেশের ধর্মীয়, নৈতিক, সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ। যারা এই দেশে বসবাস করে, তাদেরও সেই শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ। যে সমাজ যে জিনিস সমর্থন করে না, পছন্দ করে না, সেখানে যদি কৌশলে বহিঃশক্তি দিয়ে তা ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, আমি কী বলতে চেয়েছি- তা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।
সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সারাবিশ্বের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ধর্মের অপব্যবহার হচ্ছে। ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ, বিশৃঙ্খলার প্রসার ঘটাচ্ছে। বিশ্বায়নের আবহে বাংলাদেশের মাটিতেও উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে কখনো ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠী ছিল না। বর্তমানে এক শ্রেণির মানুষ অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মের ভুল ও অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সাম্প্রাদিয়ক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে বিভেদের দেয়াল তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এজন্য সবাইকে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, রুখে দিতে হবে এসব অপচেষ্টাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।