বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় রায়কে ফরমায়েশি রায় দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তাকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বে আইনিভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ফরমায়েশি রায়।’
সোমবার নয়াপল্টনে রায় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
এদিকে এই রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে মহানগর ও জেলা শহরগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে
বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা অবগত হয়েছেন যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালোদা জিয়াকে আরেকটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই মামলার বিচারকার্য একেবারে একতরফাভাবে চলেছে। তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হওয়ায় আদালতে আসতে পারেননি। ফলে কারাগারে তার জন্য আদালত স্থাপন করা হয়। তারপর তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই বিচার কাজ চালিয়ে যায়। এখনও তিনি হাসপাতালে আছেন। অসুস্থ অবস্থায় রায় দেওয়া আইনবিরোধী।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং তাকে রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বে আইনিভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ ফরমায়েশি রায়।’
সরকার যা বলছে আদালতে তা প্রতিফলিত হয়েছে, এই অভিযোগ করে
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা রায় প্রত্যাখ্যান করছি।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ বে আইনিভাবে সরকার টিকে আছে। তারা আরেকটি অবৈধ ও একতরফা নির্বাচন দিতে চায়। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি দূরে রাখতে এই রায়। এই সরকার অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চড়ে সারা দেশে ভোট চাচ্ছেন, অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখছে। এই অবস্থায় কখনও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।’
আগামীকাল (মঙ্গলবার) সারাদেশের মহানগর ও জেলা শহরে
বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ সবাইকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানান ফখরুল।