প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : যে বিবরণ আপনি দিয়েছেন, এটি আপনার অনুশোচনা ও অনুতাপ থেকেই এসেছে। এরই নাম তওবা। আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব কান্নাকাটি ও মিনতি করে তওবা ইস্তেগফার করতে থাকুন। যে অপরাধ আপনি করেছেন, সেটি মূলত মায়ের কাছে। কারণ, এটি ছিল বান্দার হক। আল্লাহর নয়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার আম্মাকে রাজী করিয়েও আপনাকে মাফ করতে পারেন। তবে আপনার অপরাধের নাম ‘ওকুকুল ওয়ালিদাইন’। যা শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। বড় ছেলে হিসাবে মায়ের প্রতি এত অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা কেন দেখালেন? আপনার এ আচরণ অনেকটাই অমানবিক নির্মমতার পর্যায়ে পড়ে। আপনার গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন। তবে, মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া বাকি রয়ে গেছে। মা হয়তো অভিমান করে চলে গেলেও আপনাকে ক্ষমা করেও দিয়েছেন। মায়েরা এমনই হয়। এরপরও আপনার জন্য তিনটি পথ শরিয়তে খোলা আছে। ১. মায়ের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। ২. দান, সদকাহ, নফল ইবাদত ইত্যাদির মাধ্যমে মায়ের নামে সওয়াব পাঠানো। ৩. নিজের ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে আজীবন রোনাজারি করে যাওয়া। যা প্রথমেই বলা হয়েছে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।