পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হিজাব পরার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পর্দা করা ইসলামের ফরজ। এ ফরজ বিধানের বিরুদ্ধে কোন মুসলমান অবস্থান নিতে পারে না। তাই ঢাবির এ কুলাংগার শিক্ষকের এ ঔদ্ধত্য মেনে নেয়া যায় না। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে শাস্তি না দিলে ইসলামী জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে।
ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিশ্বময় প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও যখন নারীরা ইসলামের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বোরকার দিকে ঝুঁকছে। ঠিক এই মুহূর্তে কতিপয় ইসলামবিরোধী নাস্তিক নারীদের পর্দাহীন করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাবি’র শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নাজেহাল করার ঘটনা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানদের মর্মাহত ও ব্যথিত করেছে। তিনি বলেন, এ ধরনের শিক্ষক নামধারীদের কারণেই দেশে খুন ও ধর্ষণ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বোরকা পরার কারণে ছাত্রী বের করে দেয়ার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে এই কুলাঙ্গার শিক্ষককে ঢাবি থেকে অপসারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলমানের দেশে পর্দা করা যাবে না এ ধরনের স্পর্ধা রুখে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এদেশ মুসলমানদের দেশ, এদেশে নাস্তিক-মুরতাদদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ধৃষ্টতা মেনে নেয়া হবে না। ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে আল্লাহদ্রোহী জালিম, নাস্তিকরা পালাতেও পথ খুঁজে পাবে না।
জমিয়ত ঢাকা মহানগর
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে হিজাব পরা ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করার ঘটনার প্রেক্ষিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পর্দা নামাজ রোজার মতই ফরজ বিধান। এর বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার কারো নেই। গত মঙ্গলবার প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান ঢাবি’র মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে হিজাব পরে আসার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে শুধু অপরাধই করেননি বরং দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠকে কলুষিত করেছেন। সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অন্তরে আঘাত দিয়েছেন। অবিলম্বে খোদাদ্রোহী নাস্তিকদের এ চরকে শিক্ষকতা থেকে অপসারণপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে তাওহীদী জনতা কঠিন কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নামবে।
গতকাল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, সহ সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম (চকবাজার), সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (মানিকনগর), সহসভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম (খিলক্ষেত), সহসভাপতি মাওলানা হামেদ জহিরী (মিরপুর), মুফতি বশীরুল হাসান, মুফতি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা আবু তাহের এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরার কারণে ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছেন, মুসলিম নারীদের জন্য পর্দা করা ফরজ। এতে হস্তক্ষেপ করার কারো অধিকার নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস থেকে ছাত্রী বের করে দিয়ে অধ্যাপক আজিজুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধান, মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা তাদের ঈমান-আক্বিদা রক্ষায় ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানদের অধ্যুষিত দেশে কুরআনের বিধান পালন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। সাম্রাজ্যবাদীর এজেন্ট ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী মহল একের পর এক ইসলামকে কটাক্ষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে উস্কানী দিয়েই চলছে। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলে সর্বত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।