Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় ৮১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১ম বুড়িগঙ্গা সেতুতে টোল মুক্ত’র দাবিতে আন্দোলনরত সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাক চালকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এজাহার নামীয় ৩১ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। 

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. আশরাফ বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের করা হয়েছে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে হত্যা চেষ্টা ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করার ঘটনা কেন্দ্র করে। মামলার প্রধান আসামীসহ অন্য কাদের আসামী করা হয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে ও গোপনীয়তার কারনে এ মুহুর্তে থানা পুলিশ কোন তথ্য দেয়নি। তবে ট্রাক শ্রমিক মো. সোহেল (২৯) নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে শনিবার নিহত সোহেলের শশুর মো. মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ইজারাদারকে প্রধান আসামী করে ৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার যে এজাহার দিয়েছিল তা অজ্ঞাত কারনে মোশারফ হোসেন মামলার কার্যক্রম মুলতবি রেখে এজাহারের কপি থানা থেকে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক ইউনিয়নের সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার এজাহারের কপি নিহত সোহেলের শশুর থানা থেকে নিয়ে গেছে কিনা তা জানিনা। এদিকে গতরাতে মামলা হওয়ায় হাসনাবাদ ও ইকুরিয়া এলাকায় আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কে বা কারা মামলার আসামী হচ্ছে সে আতংকেই অনেক শ্রমিক ও সাধারন মানুষ এখন চুপচাপ রয়েছে। গত কয়েক দিন যাবত যাদের নেতৃত্বে টোলমুক্ত আন্দোলন চলে আসছিল তারাও গা ঢাকা দিয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত সেতুতে টোলমুক্ত অবস্থায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করেছে। তবে গতকাল রোববার পরিবহন ধর্মঘট থাকার কারনে সেতু দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে শুরু করে কোন যানবাহনই চলাচল করতে দেখা যায়নি।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান জানান, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে হত্যা চেষ্টা ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় এজাহার নামীয় ৩১ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত সোহেলের ঘটনায় থানার মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সোহেলের শশুর মামলার যে এজাহার থানায় দিয়েছিল সেটি সংশোধনের জন্য সে নিয়ে গেছে। গ্রামের বাড়িতে সোহেলের লাশের দাফনশেষে সোহেলের স্বজনরা কেরানীগঞ্জে আসলে তারা আরো একটি পৃথক মামলা দায়ের করবে। তিনি আরো জানান, যারা এ ঘটনার সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত তাদেরকেই সঠিক তদন্ত করে গ্রেফতার করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ