Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ বিনা বিচারে কারাগারে আটক থেকে কষ্ট না পায়। তিনি বলেন, বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। সরকার সবার বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। দুস্থদের বিচারে সহায়তা দিতে তিনি সং্িশ্লষ্টদের সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে বিচার পায় না। অতীতে আইনগত সহায়তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তার সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। মানুষের সব মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বিচার পাওয়ার অধিকারও প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সুবিধা প্রদান দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। আইনগত সহায়তার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাংলাদেশের বহু মানুষ বিচার পায় না। অনেক সময় মিথ্যা মামলায় পড়ে বছরের পর বছর ধরে কারাগারে পড়ে আছেন অনেকে। তারা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা জানেনই না কিভাবে এ দুঃসহ যন্ত্রণা  থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, কিভাবে আইনগত সহায়তা  পেতে হয়। তাদের পরিবার এত অসহায় হয়ে পড়ে যে কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকে না। তাদের কল্যাণেই জাতীয় আইনগত সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। বিনা বিচারে এভাবে যারা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন, তাদের তালিকা করে আইনি সহায়তা দিতে হবে, তারা যেন বিচার পান।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানতে পারে সে জন্য চার বছর আগে ২৮ এপ্রিলকে আমি আইনগত সহায়তা দিবস ঘোষণা করি। আজ আইন সহায়তাবিষয়ক জাতীয় কল সেন্টার চালুর মাধ্যমে দেশের মানুষকে আইনি সহায়তার আওতায় আনা হবে। এখন ঘরে বসেই মোবাইলে ফোন করে মানুষ আইনগত সহায়তা নিতে পারবেন।
শেখ হাসিনা নিজেকে একজন বিচারবঞ্চিত ভুক্তভোগী আখ্যায়িত করে বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে আমাদেরকে বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত, এমনকি খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি প্রদান, জনপ্রতিনিধি বানিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।  ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে স্তব্ধ করে দেয়া হয় এ দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার। বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করেছি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক। লিগ্যাল এইড সার্ভিসেসের পরিচালক মালিক আবদুল্লাহ আল আমিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে লিগ্যাল এইড কল সেন্টার জাতীয়  হেল্পলাইনের উদ্বোধন করেন। এ হেল্পলাইনে (১৬৪৩০)  ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাবেন দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় বিচারপ্রার্থী নাগরিকরা। আইন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে লিগ্যাল এইড সার্ভিসের সুবিধাপ্রাপ্ত দু’জন ভুক্তভোগী নরসিংদীর শিউলী আক্তার এবং গার্মেন্টস কর্মী রঞ্জিত কুমার রায় নন্দী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী সুইস টিপে এবং কল সেন্টারের হেলপ লাইনে ফোন করে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আইনগত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রগুলো অবগত হবার মাধ্যমে এই আইনগত সুবিধা প্রদানের হেলপ লাইনটির উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীন জাতি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীন দেশে তিনি একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। যেখানে মানুষের সব  মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই সংবিধানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতিকে একটি অনন্য সাধারণ সংবিধান উপহার দিয়ে গেছেন। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য ও ন্যায়বিচারের এক অনন্য দলিল আমাদের সংবিধান। এই সংবিধানে সুবিচার ও সাম্যের বাণীকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারের রক্ষাকবচ হিসেবে এতে যথাযথ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের পবিত্র সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে : আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী। সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে : ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, অসহায়, স¤¦লহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার  পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ প্রণয়ন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০-কে বাস্তবে অকার্যকর করে রাখে। ২০০৯ সালে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা এই আইনকে গতিশীল করি। এ সংক্রান্ত আরো আইন ও বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণ আইনের সুফল ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮৮ জন গরিব ও অসচ্ছল ব্যক্তিকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। এ জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা ছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। এ দু’টি প্রতিষ্ঠানই আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০০৯ পাসের মাধ্যমে আমরা বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কাজটিকে স্থায়ীরূপ দান করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অধঃস্তন আদালতের জন্য বিচারক নিয়োগ, নতুন নতুন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করেছি। উচ্চ আদালতেও বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচারকদের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিচার বিভাগের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি আইনি সংস্কারমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার ক্ষেত্র ও পরিধি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ১৯০৮ সালের  দেওয়ানি কার্যবিধি ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে।
সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে  পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত চৌকি আদালতগুলোতে এবং শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম আদালতসমূহে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম  কোর্টেও দুস্থ, অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত বিচারপ্রার্থীদের জন্য সরকারি আইনি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর, গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে প্রত্যেক  জেলায় একটি করে স্থায়ী ‘লিগ্যাল এইড অফিস’ স্থাপন করা হয়েছে। এসব অফিস পরিচালনার জন্য ৬৪টি  জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং বিচারকগণকে এসব পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না। অসহায় দরিদ্র বিচারপ্রার্থীসহ জনগণের কল্যাণে মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে সরকার এ অফিসকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির  কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদান’ প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেলপ লাইন কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ কল সেন্টারের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ বিনামূল্যে কল করে আইনগত সেবা নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকারি আইনি সেবা আরও বিস্তৃত ও সহজলভ্য হবে। আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার সকল ব্যয় বহন করছে।
প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, অসাম্প্রদায়িক মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজ নিজ অবস্থান হতে সর্বোচ্চ শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী ও সুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই প্রায় ৫ কোটি লোক নি¤œবিত্ত  থেকে নি¤œ মধ্যবিত্ত পর্যায়ে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর  নেতৃত্ব স্বাধীন বাঙালি জাতি কখনও নি¤েœ থাকতে পারে না। তিনি বলেন, তার সরকার সামাজিক অসঙ্গতি ও  বৈষম্য দূর করে ধনী-দরিদ্র সকলকে এক কাতারে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের বিস্তার ঘটিয়ে এটিকে একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি  দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দাতাগোষ্ঠী, আইনজীবী, বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসারও উদাত্ত আহ্বান জানান। 



 

Show all comments
  • Abul Kalam ২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ পিএম says : 0
    আমরা জানি আইন সবার জন্য সমন।নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১)আছে কোনো নারী এবং পুরুষ ১৬ বছরের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যৌন মিলন করলে তা বৌধ।আমি আর আমার একটা মেয়ে পালিয়ে বিবাহ করি তার আসল বসয় হলো ১৮ বছর।কিন্তু তার সাটিফিকেট আছে ১৭ বছর ৪ মাস। এতে যে কোনো মতে আমি আমার স্ত্রী কে চাইতে পারি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ