পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ সর্বত্রই একই চিত্র। জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্ক ফেসবুক নিয়ে মাতামাতি। মাতামাতি হবে না কেন? এই ফেসবুকের কল্যাণেই হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও সবাই কত কাছাকাছি! পরিচিতে-অপরিচিতে সেতুবন্ধন! নতুন নতুন বন্ধু হচ্ছে; অনেক কিছু জানতে পারছে। আপনি তো সমাজের বাইরে নন। সমাজ যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে মরুভূমির বালুতে উটপাখির মতো মুখ লুকিয়ে আপনি ফেসবুক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন না। কাজেই ফেসবুক ব্যবহারকে স্বাগত জানানোই উত্তম। কিন্তু আপনি এটাকে কিভাবে ব্যবহার করবেন; গঠনমূলকভাবে কাজে লাগাবেন না শুধুই বিনোদন সামগ্রী করবেন সেটাই আসল কথা। ফেসবুকে যেমন অসত্য, গুজব, নোংরা ও অশ্লীল রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দৃশ্যমান; যা রুচিশীল ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চাবান্ধব নয়; তেমনি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই মাধ্যম ব্যবহারকারীকে দেখাতে পারে নতুন পথের দিশা। অন্ধজনে দেখাতে পারে আলো। দরকার উদার মানসিকতা ও সহিষ্ণুতা। ফেসবুক উপভোগ করবেন, না সুযোগ কাজে লাগাবেন তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। জ্ঞানচর্চা ও আধুনিক রাজনৈতিক বিতর্ক ও চিন্তার সুখপাঠ্য গ্রন্থ হতে পারে এই ফেসবুক। প্রবাদে আছে ‘কারাগার হলো রাজনীতিকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়’। কারাগারে গেলে নেতারা মানুষ, জীবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেন। তেমনি ফেসবুক হতে পারে আপনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়। হিংসা বিদ্বেষ নয়; আপনি শিখতে পারেন এবং উপস্থাপন করতে পারেন নতুন নতুন দর্শন; আপনার চিন্তা-চেতনা পাল্টে দিতে পারে গোটা জাতির ভাগ্য। আর হিংসা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে আপনি সুচিন্তা দিয়ে যুদ্ধও করতে পারেন; পরাজিত করতে পারেন শত্রুকে। দেশ-জাতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করা এবং সমাজে বিদ্বেষ ছড়ায় এমন অপপ্রচারকে ধ্বংস করতে বিশ্বের দেশে দেশে গড়ে উঠছে সাইবার আর্মি। আপনিও যোগ দিতে পারেন সেখানে। দেশের তরুণ-তরুণী তথা আগামীর প্রজন্ম যাতে ফেসবুকের নেতিবাচক দিকগুলো উপভোগের বদলে ইতিবাচক দিকগুলো চর্চা করেন সে ব্যাপারে আপনিও রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ফেসবুকে আপনি কখনো ছাত্র কখনো নিজেই শিক্ষক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে নিত্য চিৎকার করছি; কিন্তু প্রযুক্তির দিকে আমরা কতটুকু এগোতে পেরেছি? প্রত্যেকের ঘরে ঘরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর সারাক্ষণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলেই কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে যাবে? বাংলাদেশের ৫ বছর পর ভারত কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেছে। সাইবার এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে তারা কোথায় উঠে গেছে আর আমাদের অবস্থান কোথায়? আমরা কতটুকু চেষ্টা করেছি প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে। নিজেরা কতটুকু প্রযুক্তির সাথে মিশতে পেরেছি? দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার যেন হয়ে গেছে বিনোদননির্ভর। বিজ্ঞানের অবদান টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন। পকেটে টাকা থাক বা না থাক মোবাইল ফোনে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স মজুদ থাকা চাই-ই! অথচ টেলিভিশন আর মোবাইলের মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানিগুলো শত শত কোটি টাকা ব্যবসা করছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, টেলিভিশন আর মোবাইল এখন দুটোতেই ভারত আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী ভারতের আগ্রাসী নীতির কারণে ওই দেশকে যখন গালাগালি করছি; তখনই পকেটে রাখা এয়ারটেল মোবাইলে হিন্দি গানের সুর বেজে উঠেছে। এখন তৃতীয় প্রযু্িক্ত ফেসবুক যেন অন্য কেউ দখল করে না নেয় সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে। বাস্তবতা হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি; অথচ আমরা সবকিছু উপভোগ করতে শিখছি, ব্যবহার করতে নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজে লাগাতে হবে নতুন প্রজন্মকে।
রাজনৈতিক বিভাজন আর মিথ্যার বেসাতিতে সমাজ পচে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীরা কথা বলেন মূর্খের মতো। মিথ্যা তাদের নিত্যসঙ্গী। নীতি-নৈতিকতা উপেক্ষিত। অথচ জাতি হিসেবে নৈতিকতা শেখা জরুরি। ভার্চুয়াল মাধ্যম তথা ফেসবুকে আমরা সততা ও শুদ্ধতা চর্চার প্রশিক্ষণ নিতে পারি, দিতে পারি। বর্তমানের বাস্তবতা হলো রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র ঘুষ ছাড়া কাজ করছে না। জনগণের ট্যাক্সে পরিচালিত প্রশাসন জনগণের সামনে মূর্তিমান আতঙ্ক। জনগণের অর্থে কেনা গুলি মানুষের বুক বিদ্ধ করছে। এটা ঠেকাতে ফেসবুকে সততা ও শুদ্ধতা চর্চার মাধ্যমে জনগণের সেবক হিসেবে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চা করতে পারি। সভ্য সমাজ গড়তে গুণীজনের কাছে শিক্ষা নিতে পারি। আলেম-ওলামাদের মতামত গ্রহণ করে নিজেদের শুদ্ধ করার পাশাপাশি সমাজের অন্য সকলকে সৎ পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে পারি। সামাজিক বৈষম্য দূর করতে ক্যাম্পেইন করতে পারি। ঢাকা শহর এখন বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হয়েছে। শব্দদূষণ, পরিবেশ দূষণে পৃথিবীর সবচেয়ে নি¤œমানের শহরগুলোর একটি হলো আমাদের প্রাণের শহর ঢাকা। এ শহরে সবকিছু হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় নিয়ম-শৃংখলার বালাই নেই। অর্থের অসম বণ্টনের পাশাপাশি খেয়ালখুশি মতো সবকিছু চলছে। যত্রতত্র বস্তি, বাড়িঘর নির্মাণে অনিয়ম, বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ, যাদের এসব দেখার কথা সেই রাজউক, সিটি কর্পোরেশনের অসাধু কর্মকর্তারা উপরি নিয়ে ভুল প্লান পাস করছে। ১০তলা বিল্ডিং তোলার অনুমোদন নিয়ে ১৫তলা উঠানো হচ্ছে। শহর হয়ে পড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বিষয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক করতে পারি। সচেতনতা বাড়াতে পারি। ফেসবুকে শত শত হাজার হাজার লাখ লাখ ফলোয়ারের তর্ক-বিতর্কের মতামতে একটি ভালো সিদ্ধান্ত বের হয়ে আসবে। এটা ঠিক ফেসবুকে রাজনীতির নানা পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন এগুলো কুতর্ক। নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষের শক্তি বিতর্ক, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, জনগণের অধিকার, ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারি, তনু হত্যা, শফিক রেহমান গ্রেফতারের পেছনে অদৃশ্য রাজনৈতিক কারণ প্রমাণের চেষ্টা, কলাবাগানে জোড়া খুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক খুন সবকিছু নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের গোপন বৈঠক, কূটনীতিকদের কার্যকলাপ, আলাপ, প্রেম, সম্পদ পাচার ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুকে যোগাযোগের মাধ্যমে ছাত্রবেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন হয়েছে। তাতে সফলতা এসেছে। গুজব আকারে আসছে নানা তথ্য ও রাজনৈতিক পূর্বাভাস। এসব পূর্বাভাস ও গুজব দেখে লিখছি শিখছি। ইতিবাচকভাবে এগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। রাজপথে মিছিলে পুলিশ গুলি ছুড়লে ফেসবুকের মাধ্যমে জনমত গঠন করতে পারি।
সবচেয়ে বড় খবর হলো ফেসবুকে এখন দেশপ্রেম, নীতি- নৈতিকতা এবং চুরি-ডাকাতি, হ্যাকিং ঠেকানোর সাইবার আর্মি গঠন করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে সাইবার আর্মি হয়েছে। সাইবার জগতে অতি সুপরিচিত একটি হ্যাকার গ্রুপ বা সংগঠনের নাম ‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি’। এরা বাংলাদেশের সাইবার স্পেস রক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে কাজ করছে। ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর সৃষ্টি হওয়া এই সংগঠন থেকে নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকা- বিশেষ করে বাংলাদেশ সাইবার স্পেস আক্রমণ এবং অন্যান্য দেশে মানবতাবিরোধী হত্যাসহ অমানবিক অত্যাচার হলে; এই সাইবার আর্মি প্রতিবাদ করেছে। বিদেশী হ্যাকাররা বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে হামলা করলে এই সাইবার আর্মি সেসব ওয়েবসাইটসমূহ রিকভার করেছে। পাশাপাশি উল্টো হামলার মাধ্যমে তাদের সাইবার স্পেসে তা-বলীলা চালিয়ে তাদের সতর্ক করে দিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা- না করে। শত্রু সতর্ক হতে বাধ্য হচ্ছে।
ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখা যায়, ভারত-বাংলাদেশ, মিয়ানমার-বাংলাদেশ, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সাইবার যুদ্ধ হয়েছে। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি এবং ব্যাঙ্গাত্মক সিনেমা বানানো ও প্রচার করায় ইসরাইল, ফ্রান্স বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রচুর ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি। সীমান্তে বিএসএফের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা, সীমান্ত থেকে বাংলাদেশীদের অপহরণ করা বন্ধ, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ, বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে আক্রমণ বন্ধ করা, মাদক ও চোরাচালান বন্ধ করা, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই করা, বাংলাদেশী স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে প্রচার করাসহ বাংলাদেশবিরোধী সব ধরনের কর্মকা- বন্ধ করার দাবি পৌঁছিয়েছে দিল্লির কাছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় হ্যাকারদের বাংলাদেশী সাইবার স্পেস আক্রমণ করলে জবাবে ভারতের সরকারি শিক্ষা বোর্ড, স্টক এক্সচেঞ্জ (দিল্লি), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, বিমানবন্দর, কিছু সরকারি ওয়েবসাইট, অনলইন গেমিং ওয়েবসাইটসহ একদিনে ৫০০০ ওয়েবসাইট হ্যাক করে ভারতীয় সাইবার স্পেস ল-ভ- করে দেয় তারা। মিয়ানমার ও পাকিস্তানের সঙ্গেও যুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। এছাড়াও এন্টিপর্নো স্লোগান নিয়ে পর্নগ্রাফিবিরোধী কর্মসূচি শুরু করেছে। এতে করে তরুণ-তরুণী, ছাত্রছাত্রী তথা নতুন প্রজন্মকে পর্ণগ্রাফির ছোবল থেকে দূরে রাখবে। সংগঠনটি থেকে দাবি করা হয় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিচিত পর্ন সাইট হ্যাক করেছে। কাজেই ফেসবুককে আপনি ব্যবহার করতে পারেন সুষ্ঠু ভালো কাজ ও দেশপ্রেমে। সামাজিক অনেক অনিয়ম, অন্যায়ের খবর ফেসবুকে প্রকাশিত হয়। ওই সব অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে আপনিও ভূমিকা রাখতে পারেন ফেসবুকে। যার মাধ্যমে সমাজ যেমন সচেতন হবে; তেমনি আপনিও দেশের জন্য কিছু করতে পারলেন। আপনি ইচ্ছা করলেই যেখানে ফেসবুককে এড়িয়ে চলতে পারছেন না তখন সেটাকে কাজে লাগানোই উত্তম নয় কি?
ইদানীং অনেক কিছুই ফেসবুকনির্ভর হয়ে গেছে। আপনি পিছিয়ে থাকবেন কেন? আপনিও ফেসবুক ব্যবহার করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হোন; সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখুন। মূলধারার গণমাধ্যমের নিজস্ব সেন্সরশিপ এবং কর্পোরেট পরাধীনতা, সরকারমুখিতা রোগের কারণেও অনেক রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে ফেসবুকে। আপনি তাতে শরিক হচ্ছেন না কেন? রাজনৈতিক ক্যারিকেচায় ভোটের অধিকার হারিয়েছেন; ক্ষমতাসীনদের তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে আপনার নাগরিক অধিকার। কিন্তু নিজের মত প্রকাশ ও অন্যের মত জানার অধিকার তো খর্ব হয়নি। অশ্লীলতা নোংরামি কপটতা এড়িয়েও আপনি ফেসবুক ব্যবহার করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। সেটা সম্ভব না হলে ভালো কিছু গ্রহণ করে শিখতে পারেন। ফেসবুক হয়ে যেতে পারে আপনার দেশপ্রেমের হাতিয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।