প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : আপনার বংশধর নেই। মানে আপনি নিঃসন্তান বা বিয়ে শাদী করেন নি। এখানে আপনার সম্পত্তি পরবর্তীতে ভাই-ভাতিজারা পাবেন। তারা যদি সম্মতি দেয় (যদিও এটি জরুরী নয়, সৌজন্য মাত্র) তাহলে পৈত্রিক সম্পত্তি সবটুকু বিক্রিতে শরীয়ত কোনো বাধা দেয় না। এতে কোনো অমঙ্গলও হয় না। তবে মানুষ সম্পূর্ণ বাস্তুহারা বা ছিন্নমূল যেন না হয়ে যায় এজন্য আমাদের সমাজে একটি রীতি চালু আছে নিজের পৈত্রিক ভিটাটুকু বিক্রি না করার। এতে মানুষ ঠিকানাবিহীন হয়ে যায়। এটি শরীয়তের বিধান না হলেও সামাজিক একটি সুন্দর রীতি। শরীয়ত একে মন্দও বলে না, ভালোও বলে না। তবে প্রচলিত ভালো রীতি শরীয়ত উৎসাহিত করে। এখন আসুন আপনার চাচাতো ভাইদের কথায়। আপনি ও আপনার আপন ভাইয়েরা আপনার জায়গায় থাকেন না। চাচাত ভাইয়েরা এজন্যই আপনার জায়গায় উঠেছে। আপনি মামলা করতে পছন্দ করেন না, এটি খুবই ভালো কথা। আপনি সম্ভব হলে কিছুটা ঠকেও জায়গাটি নিজ বংশের লোকদের দিয়ে দিন। এমন হতে পারে যে, বাজারমূল্য নির্ধারণ করুন, এরপর যা তারা দেয় তা গ্রহণ করুন, বাকীটা তাদের সওয়াবের নিয়তে ছাড় দিয়ে দিন। আত্মীয়দের প্রতি ইহসানের সওয়াব অনেক বেশি। এরপরও আপনার পূর্ণ অধিকার আাছে বাইরের লোকের কাছে বেশি মূল্যে বিক্রি করার এবং চাচাত ভাইদের উচ্ছেদ করে ক্রেতাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার। এতে আপনার গুনাহ হবে না। তবে অনেক অনেক সওয়াব থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। এখন আপনার ইচ্ছা।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।