Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে সরকার

বিএফইউজে ও ডিইউজে একাংশের বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৫৬ পিএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সাংবাদিকসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ যেনো সরকারের দুর্নীতি ও অপকর্ম প্রচার করতে না পারে এজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ককার্যকর করছে। সরকার এ আইন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। এরই অংশ হিসেবে নিউ নেশন পত্রিকার প্রকাশক ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিক ইব্রাহীম মন্ডলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। তারা আরো বলেন, বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করেছে। সাংবাদিক সমাজ এ আইন মানে না এবং মানবেও না।
গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী’র সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে›র মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজে›র সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল আমিন রোকন, সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সহকারী মহাসচিব আহমেদ মতিউর রহমান, ডিইউজের সহ সভাপতি শাহীন হাসনাত, বিএফইউজে›র প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসীন, বাসসের ইউনিট চীফ আবুল কালাম মানিক, ডিআরইউ›র সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল প্রমুখ।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছি, সরকার কোনো কর্নপাত করছে না। এ সরকার গণবিরোধী ও মিডিয়া বিরোধী। এ আইন সাংবাদিকসহ দেশের সকলকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দিয়েছে। কেউ স্বাধীনভাবে লিখতে ও বলতে পারছে না। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং একদলীয় শাসন কায়েম করার জন্য এ আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ আইন বাতিলের দাবিতে আমাদের লড়াই চলছে এবং চলবে। যতদিন এ আইন বাতিল না হবে ততদিন আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।
শওকত মাহমুদ বলেন, জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভূলণ্ঠিত করার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ঘৃনিত আইন কার্যকর করা হয়েছে। এ আইনে কেউ স্বাধীনভাবে লিখতে ও বলতে পারবে না। কেউ যেনো সরকারের সমালোচনা করতে না পারে এজন্যই এ আইন কার্যকর করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে দেশের আপামর মানুষকে জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এ আইন ব্যবহার করছে। যেনো একটি পাতানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে পারে। কিন্তু সাংবাদিক সমাজ তা কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেবে না। এবার ঐক্যবদ্ধভাবে সাংবাদিক সমাজ কঠোর জবাব দিবে। তিনি বলেন, এই কালো আইনের শিকার হয়েছে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও সাংবাদিক ইব্রাহীম মন্ডল। যা খুবই দুঃখজনক। তার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এসময় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দেলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ