Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট সমাবেশের দিকে স্থির হয়ে আছে সকলের দৃষ্টি

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:২৮ পিএম

এখন অপেক্ষা শুধু সমাবেশের। নিবিড় সর্তক চোখে সকলের। কি হচ্ছে, কি হবে, সেই ভাবনায় অস্থির সচেতন মহল। সেকারনে পড়ছে না কারো চোখের পলক, কি হবে সমাবেশের ঝলক। তবে রাজনীতিক আর রাজনীতিবিদদের পালর্স তো অন্য কিছু, ভয় দেখায় ভয়হীন করে তোলাই তাদের নেশা-পেশা। এ খেলায় সমাবেশের আগেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় আতংকে দিশেহারা করে তুলে। ধরেও নিয়ে যায় একাধিক নেতাকে পুলিশ । এর মধ্যে সময়ের কাটা দ্রুত ঘুরছে। কয়েক ঘন্টা পর কাংখিত প্রত্যাশিত সমাবেশ সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্টার মাঠে। এ মাঠ দেশে তথা স্থানীয় রাজনীতির কাছে ঐতিহাসিক। এখান থেকে বড় ছোট আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা ঢেউ উঠছে। সেই মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ। ইতিমধ্যে রাজনীতিক অংগনে আজকের সমাবেশ নিয়ে ঝড় বইছে। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিও সিলেটে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিলেটে এই সমাবেশ থেকে কোন কর্মসূচি ঘোষণা করেন কিংবা কী বার্তা দেন-সেদিকেই সবার আগ্রহ।
সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে আজ বুধবার বেলা ২টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে যোগ দিতে কাল মঙ্গলবার সিলেটে এসে পৌঁছান গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্যসচিব মোস্তফা আমিন।
আগে থেকেই সিলেটে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, তাহসিনা রুশদী লুনা।
এতো সব হেভিওয়েট নেতাদের অংশগ্রহণে সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে কী বার্তা আসে, তা নিয়ে রাজনীতি সচেতন মানুষদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আরেকটি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যফ্রন্টের এই প্রথম সমাবেশ রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। সেজন্য এই সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি কী আলটিমেটাম দেয়া হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন সবাই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সজাগ দৃষ্টি রাখছে। রাজনীতির মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই প্রথম কর্মসূচি দেখেই নিজেদের আগামী করণীয় ঠিক করবে আওয়ামী লীগ-এমনটাই মনে করছেন তারা। তাদের মতে, ঐক্যফ্রন্ট নেতারা যেসব দাবি তুলবেন কিংবা যে আলটিমেটাম দেবেন, তার জবাবের জন্যও সমাবেশে দৃষ্টি রাখবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

বিশ্লেষকদের অভিমত, সাধারণ মানুষও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষ ইতিবাচক রাজনীতিই দেখতে চায়। নির্বাচন নিয়েও সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কী ঘোষণা দেয়, তাদের নির্বাচনী রোডম্যাপ কী হবে-তা জানতে চান সাধারণ মানুষ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টদের মতে, আজ সমাবেশ থেকে নিজেদের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসতে পারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছ থেকে। বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে সরকারের প্রতি চূড়ান্ত আলটিমেটাম দিতে পারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই আলটিমেটামে সরকার সাড়া না দিলে কোন পথে ঐক্যফ্রন্ট কোন পথে হাঁটবে, সে বিষয়েও ঘোষণা আসতে পারে।
তবে ধ্বংসাত্মক কিংবা জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতির কোনো কর্মসূচি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিবাচক রাজনীতি দিয়ে, পরিবর্তনের সুর তুলে সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চায় ঐক্যফ্রন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ