Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যারা মানুষ পুড়িয়েছে, তাদের মদদেই হত্যা প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার উৎখাতে যারা ব্যর্থ হয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তাদের মদদেই বেছে বেছে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। খুবই সুপরিকল্পিতভাবে এসব ঘটানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক হত্যাকান্ড নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা একসময় আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তাদেরই মদদ আছে এই গুপ্তহত্যায়। তারা আন্দোলনের নামে শত শত মানুষ হত্যা করেও যখন কিছু করতে পারেনি, এখন গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
সরকার এ ধরনের হত্যাকা- ‘দেখতে চায় না’ মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিগগিরই অপরাধীদের ধরতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।
দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকা ও রাজশাহীতে একই কায়দায় এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, এক সমকামী অধিকার কর্মী ও তার বন্ধু এক নাট্যকর্মী খুন হওয়ার পর গতকাল (বুধবার) নিজের কার্যালয়ে ‘ফার্স্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির’ চতুর্থ সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সভাশেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের গুপ্তহত্যা হচ্ছে। বাংলাদেশে যারা এসব ঘটাচ্ছে, তাদের খুঁজে বিচার করা হবে জানিয়ে অন্যান্য দেশের গুপ্তহত্যাকারীদেরও বিচার হওয়া উচিত। যারা এ ধরনের হত্যাকা- ঘটাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য ধর্ম রক্ষা করা নয়। তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে।
প্রেস সচিব বলেন, সাম্প্রতিক হত্যাকা-গুলোর প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুপরিকল্পিতভাবে এসব হত্যাকা- ঘটানো হচ্ছে। টার্গেট হচ্ছেন মসজিদের ইমাম, পুরোহিত, পাদ্রী। উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
যারা উন্নয়ন ‘চায় না’ তারাই এসব ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তদন্তের মাধ্যমে শিগগিরই অপরাধীদের ধরা হবে বলে তিনি আশা করছেন।
প্রেস সচিব বলেন, সব হত্যাকা-ের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা চাই না বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক’। কলাবাগানের ওই হত্যাকা-ের পর পাঁচ থেকে সাতজনকে ‘আল্øাহু আকবার’ বলতে বলতে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যেতে দেখার কথা বলেছেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী। প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘ধর্মের নামে’ মানুষ হত্যারও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসলাম ধর্মের নাম করে আসর, মাগরিব নামাজ না পড়ে যে সময় মানুষ নামাজ পড়ে, সে সময় তারা মানুষ খুন করতে যায়। জঙ্গিদের কোনো ‘ধর্ম ও সীমানা’ নেই বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা

ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চান প্রধানমন্ত্রী
বাস্তবায়নাধীন ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের ওপরই দেশের উন্নয়ন নির্ভর করছে।
বাস্তবায়নাধীন এ ১০টি প্রকল্প হলোÑ পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, এলএনজি টার্মিনাল, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও দোহাজারী-রামু-ঘুমদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন রেল ডুয়েল গেজ।
ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প আগে ৮টি ছিল। দু’টি নতুন করে যুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চাইছি। এ সরকারের মেয়াদ আছে আড়াই বছর। এই সময়ের মধ্যেই প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, কিছু প্রকল্পকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। দেশের দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আরো ১০ শতাংশ কমাতে চাই, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। এখন সবার ঘরে ঘরে খাবার আছে। কোনো হাহাকার নেই। আমাদের লক্ষ্য শহর ও গ্রামের আয় বৈষম্য দূর করা। লক্ষ্য পূরণে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করতে হবে। সভায় ১০টি প্রধান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্র ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল
হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে -সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকার কারণে দেশে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ়তর হচ্ছে।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে, বিকেল ৫টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে দেশ ও বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। জনগণের সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের জনবল বৃদ্ধিসহ বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যানবাহন, যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সকল প্রকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদক দ্রব্যসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল উদ্ধার কল্পে পুলিশের নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান এবং ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো: রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দৃশ্যমান ভূমিকা রেখে গেছে।
রিজার্ভ চুরি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে না
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় দেশের অর্থনীতিতে আপাত ক্ষতি হলেও দীর্ঘ মেয়াদে কোনো প্রভাব পড়বে না। বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে কিছু অর্থ ফেরত পাওয়া গেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাকি অর্থও ফেরত আনা যাবে।
শেখ হাসিনা জানান, হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার ফলে আরও বড় রকমের হ্যাকিং বন্ধ করা গেছে। একই সাথে ফিলিপাইন সরকারের সহযোগিতায় অর্থ ফেরত আনার তৎপরতার ফলে এ বিষয়ে সম্ভাব্য বিরূপ পরিস্থিতি ঠেকানো গেছে। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন একটি রিপোর্ট দিয়েছে। সেই মোতাবেক নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এসব তৎপরতার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনা দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, মুদ্রানীতি গ্রহণের প্রাক্কালে ২০১৬ এর জুনের শেষে যে পরিমাণ নিট বৈদেশিক সম্পদের (১ হাজার ৮৬৬ বিলিয়ন টাকা) লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয়েছে তার তুলনায় মার্চের শেষে প্রকৃত নিট বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ, রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের পরেও দাঁড়িয়েছে অনেক বেশি অর্থাৎ ১ হাজার ৯৮১ বিলিয়ন টাকা। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় মুদ্রানীতি বাধাগ্রস্ত হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ৫০ জন নেতাদের তালিকায় আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া গত বছরের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রভাবশালী সাময়িক ফরেন পলিসি আমাকে বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের একজন হিসেবে ঘোষণা করে। আমার এসব অর্জন এদেশের সকল মানুষের।
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম-এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে শিল্পায়ন। মোট দেশজ উৎপাদনে অর্থনীতির এ গুরুত্বপূর্ণ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল স্থির মূল্যে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে স্থির মূল্যে ৩১ দশমিক ২৮ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে শিল্পায়ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বিনিয়োগে অভূতপূর্ব সাফল্যের একটি বড় প্রমাণ হচ্ছে আমাদের জিডিপি। আমাদের মাথাপিছু আয় গত বছরের ১ হাজার ৩১৪ ডলার থেকে ১ হাজার ৪৬৬ ডলার এবং জিডিপি ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
জরুরী অবস্থায় বেশি অর্থপাচার হয়েছে
সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হুসাইনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে কোনো অফ-সোর ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কখনো দেওয়া হয়নি। তবে অফ-সোর ব্যাংক বহু দেশেই আছে, এটা প্রচলিত, উন্নত দেশগুলোর সব জায়গাতেই আছে। অনেকে বিদেশে ব্যবসা করেন, টাকা দেশে আনেন না, বিদেশেই রেখে দেন। আবার অনেকে বাইরে নিয়েও গেছে, এ তথ্যও আমাদের কাছে ধীরে ধীরে আসছে। টাকা পাচারের ঘটনাটি সব থেকে বেশি ঘটেছে ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখন এবং তারপর থেকে অনেকেই এ ব্যাপারে শঙ্কিত, কারণ সে সময় ব্যবসায়ীদের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। অনেকেই ২০০৭-০৮ অর্থবছরে টাকা বাইরে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বেশির ভাগই বিদেশেই টাকা রেখেছেন এবং এখনো প্রচুর পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রীর ছেলের বাইরে রাখা টাকা আমরা ফেরত আনতে পেরেছি। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরল দৃষ্টান্ত যে আমরা টাকা ফেরত আনতে পেরেছি এবং এভাবে আমাদের কার্যক্রম চলছে। বাইরে টাকা পাঠানো রোধ করা এবং পাঠালেই সেটা ফেরত আনার ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী দম্পতি হত্যায় প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী এক দম্পতি হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা ¯্রফে অনভিপ্রেত। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমন হত্যাকা-ের শিকার হতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব হত্যাকা-ের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের উন্নয়নে ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর মনিটরিং কমিটির ৪র্থ সভায় দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে ঘরে ঢুকে একই পরিবারের আটজনকে গুলি করে হত্যারও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, আশা করি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দেশে ওই সব হত্যাকা-ের ব্যবস্থা নেবে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় নিহত বাংলাদেশী দম্পতি গোলাম রাব্বি (৫৯) পেশায় একজন প্রকৌশলী ও তার স্ত্রী শামিমা রাব্বি (৫৭) হিসাবরক্ষক ছিলেন। তারা দুইজনই স্থানীয় সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ না পেয়ে গত রবিবার বিকেলে তার কয়েকজন বন্ধু তাদের বাড়িতে যান। সেখানে বাড়ির দরজা খোলা পাওয়া যায় আর দুইজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ কাঠের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও এখনো খুনের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যারা মানুষ পুড়িয়েছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ