পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ মে শ্রমিক সমাবেশে স্মরণকালের জনসমাগম ঘটাবে বিএনপি। গতকাল বুধবার সকালে মহানগর বিএনপির এক যৌথসভায় নেতৃবৃন্দ এই ঘোষণা দেন। সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজ দেশের সকল মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার, ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সারা দেশে হত্যা-গুম-নির্যাতন এমন এক পর্য়ায়ে পৌঁছেছে যে, এখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই।
এর আগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভাকে শ্রমিক দলের সমাবেশ ভাবলে চলবে না। আমাদের ভাবতে হবে- এটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা। সুতরাং এ যাবতকালে দেশনেত্রীর জনসভায় যত লোক হয়েছে, আমাদের তার চাইতে বেশি লোক সমাগম, কর্মী সমাবেশ ঘটিয়ে সরকারকে বুঝিয়ে দেবে- স্মরণকালের সর্বোত্তম বৃহৎ জনসভা সেদিন আমরা করতে পেরেছি। এই সমাবেশে সকল থানা-ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেয়ার আহ্বানও জানান মির্জা আব্বাস।
আগামী ১ মে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য রাখবেন।
এই সমাবেশ উপলক্ষে বুধবার সকালে নয়া পল্টনে মহানগর কার্যালয়ে মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর বিএনপির এই যৌথসভা হয়।
শ্রমিক সমাবেশ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত সরকার জনগণের কোনো ম্যান্ডেট না নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজ দেশের সকল মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার, ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সারা দেশে হত্যা-গুম-নির্যাতন এমন এক পর্য়ায়ে পৌঁছেছে যে, এখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, দেশের সেই অধিকার ফিরিযে আনতে হলে, জনগণ ও শ্রমিকদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেবলমাত্র ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সদ্য কারামুক্ত নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, বরাবরই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটে থাকে। তবে এবার ব্যতিক্রমী। আমরা এখন রাস্তায় মিছিল করতে পারি না। ঢাকার রাজপথে কেবল একটা মাত্র দল মিছিল করতে পারে। অন্য কেউ পারবে না। এটা কেমন গণতন্ত্র হলো? এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্রের লেবাসে অত্যাচার চালিয়ে, মানুষের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে, গুম-জখম-হত্যা করে সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।
বিভিন্ন নির্বাচনে সরকারের কর্মকা-ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার প্রমাণ হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে, এই সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই। সুতরাং সিল মেরে তাদের জিততে হবে সারা জীবন, যতদিন তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়।
তা হলে কী করতে হবে? বিএনপিকে আগে চাপিয়ে রাখতে হবে, ধ্বংস করতে হবে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে দিতে চাই- বিএনপি ধ্বংস হওয়ার দল নয়।
কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে অনেক নেতা-কর্মী বন্দি থাকার কথা উল্লেখ করে তাদের যথা শিগগিরই মুক্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক নেতা-কর্মী এখনো জেলে আছে। জেলখানায় যখন ছিলাম বহু ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অনেক কর্মী অসুস্থ হয়েছে। অনেককে আমি মুক্তির চেষ্টাও করেছি। যাদের নেতা-কর্মীরা জেলে আছে, তাদেরকে যথাশিগগিরই সম্ভব ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকে আছেন যাদের ছাড়ানোর কেউ নেই। এরকম কেউ থাকলে সেগুলো দয়া করে আমাদের কাছে পৌঁছাবেন, তাদের আমরা কোর্ট-কাচারি মাধ্যমে মুক্তির ব্যবস্থা করব।
যৌথসভায় দলের মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুুল আউয়াল মিন্টুও বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মহানগর নেতা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কাজী আবুল বাশার, শামসুল হুদা, ইউনুস মৃধাসহ বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।