আন্তর্জাতিক ব্যাংকের গ্যারান্টি থাকা দেশীয় ব্যাংকের এলসিসহ অন্যান্য দায়ের প্রভিশনিংয়ের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বৃহষ্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতোদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিং গ্রেড-১ মানে উন্নীত বহুজাতিক ব্যাংক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে সৃষ্ট দায়ে এক শতাংশ হারে সাধারণ সঞ্চিতি রাখতে হতো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে রেটিং মান অনুসারে শুন্য দশমিক ৫০ থেকে ১ শতাংশ হারে সংরক্ষণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে ব্যাংকগুলোর অফ-ব্যালেন্সশীট এক্সপোজার তথা এলসি বা বিভিন্ন গ্যারান্টির বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে এক শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিং গ্রেড-১ প্রাপ্ত বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকের কাউন্টার গ্যারান্টি থাকলে সে ক্ষেত্রে কোনো প্রভিশন রাখার প্রয়োজন পড়ে না। এখনও এ ক্ষেত্রে কোনো প্রভিশন রাখতে হবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিং গ্রেড-২ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার গ্যারান্টির বিপরীতে শুণ্য দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ৩ ও ৪ রেটিং প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে শুণ্য দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে রাখতে হবে ১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রেটিং মান বিবেচনার ক্ষেত্রে মুডিস, এসঅ্যান্ডপি, ফিসসহ আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সির রেটিংকে ধরা হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ মানের রেটিংয় প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের রেটিং গ্রেড বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিং গ্রেড-১ বিবেচনা করা হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের রেটিংয়ের ক্রমানুসারে পরবর্তী রেটিং বিবেচনা করা হবে। তবে সব ক্ষেত্রে ভারত ও চীন এই দুই দেশের ব্যাংকের কাউন্টার গ্যারান্টির বিপরীতে এক শতাংশ সাধারণ সঞ্চিতি রাখতে হবে। বিশ্বব্যাংক, এডিবির মতো প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার গ্যারান্টি সব সময়ই রেটিং গ্রেড-১ হিসেবে বিবেচিত হবে।