পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে গেলেই দলজিৎপুর গ্রাম। নড়াইল-মাইজপাড়া সড়কের পাশেই গাড়–চোরা নামে পরিচিত বাজারেই গড়ে তোলা হয়েছে গাভীর খামার। এটি তৈরি করেছেন সাইফুল্লাহ। ছোট্ট আকারে শুরু করলেও বর্তমানে এখানে প্রায় দেড় কোটি টাকার গাভী রয়েছে তার খামারে। সাইফুল্লাহ জানান, ২০০৫ কেমিস্ট্রিতে এমএ পাস করে চাকরির জন্য কারো কাছে ধরনা না দিয়ে নিজেই স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মাত্র ৫ লাখ টাকা নিয়ে শুরু করেন গরুর খামার। ২ লাখ টাকা খরচ করে গড়ে তোলেন গরু রাখার জন্য একটি টিনশেডের ঘর আর ৩ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করে ৪টি উন্নত জাতের গাভী। শুরু হলো ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পথচলা। এ বেশিদিনের আগের কথা নয় ২০০৬ সালের কথা। কথাগুলো বলছিলেন সফল গাভী খামারি নড়াইলের সাইফুল্লাহ। ৫ লাখ টাকা থেকে আজ দেড় কোটি টাকার গাভী রয়েছে তার খামারে। ৪টি গাভী থেকে আজ ছোট-বড় মিলে ৮৭টি গাভী রয়েছে তার খামারে। গাভীর খাবারের জন্য চাষ করা হয় ঘাসেরও।
সাইফুল্লাহ ডেইরি ফার্মের মালিক আরো জানান, বর্তমানে তার খামারে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে, যা জেলার চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখানে ৮ জন কর্মচারী কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছেন। জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। নড়াইলে দুধ বিক্রয় কেন্দ্র না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জানিয়ে তিনি সরকারের নিকট জোর দাবি জানান একটি দুধ বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার। যা আরো বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলেও জানান তিনি। ফার্মের কর্মচারী রঞ্জন কুমার হালদার বলেন, আমি প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ এখানে কাজ করছি, কাজ করে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমিসহ আমার পরিবার ভালোভাবে জীবনযাপন করছি। নাছিমা বেগম বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এখানে কাজ করি। যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার ভালোভাবে চলছে পাশাপাশি ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে। শেখ দিদার বলেন, আমি এ ফার্মে দীর্ঘ আট বছর যাবত কাজ করছি। আমি ১৮ হাজার টাকা বেতন পাই যা দিয়ে আমি সুখে-শান্তিতে পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করছি। নাসিমা খানম বলেন, আমি এখানে কাজ করে সংসার ভালোভাবে চলছে পাশাপাশি একটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি আর একটি মেয়ে এবার এসএসসি পীরক্ষা দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।