পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের আনাগোনা ঠেকানো যাচ্ছে না। র্যাব-পুলিশের অভিযানে প্রায়ই ধরা পড়ছে অস্ত্র-গোলাবারুদ। কিছু অস্ত্রবহনকারীও ধরা পড়ছে মাঝে মধ্যে। তবে অবৈধ অস্ত্রের কারবারিরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। সিন্ডিকেটের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় অক্ষত থেকে যাচ্ছে তাদের নেটওয়ার্ক। ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কালো অস্ত্রের কারবারিরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সীমান্ত পথে অস্ত্রের চালান আসছে। দেশেও তৈরী হচ্ছে হালকা আগ্নেয়াস্ত্র। এই প্রেক্ষাপটে সীমান্ত পথে অস্ত্রের চালান ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। একই সাথে এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গোপন অস্ত্র তৈরীর কারখানা ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের উপরও নজরদারি শুরু হয়েছে। হালনাগাদ করা হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারীদের তালিকা।
মহানগরীসহ এই অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের আনাগোনা বাড়ছে। নানা অপরাধের ঘটনায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারও বাড়ছে। সোমবার নগরীর বরিশাল কলোনীর মাদকের হাটে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন মাদক ব্যবসায়ীকে। পুলিশ জানায় মাদকের ব্যবসা নিরাপদ করতে তারা অস্ত্র রেখেছে। ১১ অক্টোবর রাতে নগরীর মুরাদপুরে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হন নগরীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা অসীম রায় বাবু। বন্দুকযুদ্ধে বাবু মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একজন উপ-অধিনায়কসহ চার র্যাব কর্মকর্তা। বাবুর কাছ থেকে পাওয়া যায় দুটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র। এই ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশের তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুর দখলে থাকা আর কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
এর আগে র্যাবের অপর এক অভিযানে নগরীর লালখানবাজার ইস্পাহানী মোড়ে উদ্ধার হয় আটটি আগ্নেয়াস্ত্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো একটি মাইক্রোবাসে করে ২০ হাজার পিস ইয়াবার সাথে এসব অস্ত্র আনা হয় কক্সবাজার থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে অস্ত্রগুলো ফেনীতে নেওয়া হচ্ছিল বিক্রির জন্য। তবে পুলিশী তদন্তে এইসব অস্ত্রের মূল মালিক এবং ক্রেতা কারা তা এখনও চিহ্নিত হয়নি। কোতোয়ালী থানায় মামলার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন এই অস্ত্রের সাথে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে পাকড়াও করা হবে।
র্যাব-পুলিশের অভিযানে প্রায় অস্ত্র ধরা পড়ে। তবে কিছু বহনকারী ছাড়া এসব অস্ত্র কেনাবেচার সাথে জড়িতের চিহ্নিত করা যায় না। গেল বছরের জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অভিযানে ১৯৮ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে দেশে তৈরী অস্ত্রের সাথে একে-২২ রাইফেলের মতো বিদেশী ভয়ঙ্কর যুদ্ধাস্ত্রও উদ্ধার হয়। এসব অস্ত্র এসেছে সীমান্ত হয়ে। একই সময়ে মোট ৩১ টি ম্যাগাজিন এবং দুই হাজার ৪৭০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলিও উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর জেলা পুলিশের অভিযানেও প্রায় সমান সংখ্যক অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।
তবে এসব অস্ত্র ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারা বরাবরই আড়ালে থেকে যায়। আর এ কারণে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা ঠেকানো যাচ্ছে না। র্যাব-পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ত্র চোরকারবারি চক্রের মূলহোতারা আড়ালে থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অস্ত্র বহনকারী কিংবা ব্যবহারকারী অস্ত্রসহ ধরা পড়লেও মামলা তদন্তে মূলহোতাদের নাম আসে না। রেঞ্জ পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, এ অঞ্চলে অস্ত্র ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অস্ত্রধারী এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীদের তালিকাও হালনাগাদ করা হচ্ছে।
এদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্ত পথে অস্ত্র চালান ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ওই কর্মকর্তা। গত সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে সড়ক, সাগরপথ এবং পাহাড়ি পথে অস্ত্রের চালান আসতে পারে। রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহাবুবর রহমানের উপস্থিতিতে এমন নির্দেশনার পর সীমান্ত এলাকার পুলিশ সুপারগণ স্ব স্ব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।