Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুই মন্ত্রী ও তিন সচিব বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। গতকাল মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু। এতে তথ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব ও আইন সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ধারাগুলো সংশোধনের উদ্যোগ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ১১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা সুরক্ষার অন্তরায় বিধায় উক্ত ধারাগুলো সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি আইনের আলোচিত কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ধারাগুলো বাতিল অথবা সংশোধন চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নতুন এই আইনের নয়টি ধারাগুলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা সুরক্ষা অন্তরায় বলে সাংবাদিক নেতারা বিভিন্ন সমাবেশ, মানববন্ধন ও সেমিনারে দাবি করেছেন। এসব সভা-সমাবেশ থেকে এই ধারাগুলো বাতিল ও সংশোধনের প্রস্তাব দাবি করেছেন সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে এই ধারাগুলো সংবাদকর্মীদের স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশনে এবং প্রকাশে অন্তরায় হবে বলেও বিশিষ্ট সম্পাদকেরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে মধ্যে এ ধারাগুলো বাতিল করে সংশোধণের জন্য নোটিশ পাঠানো হল। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উপযুক্ত জবাব না পেলে এবং উক্ত ৯ ধারা সংশোধনের উদ্যোগ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংসদে পাস হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ ৫টি ধারা বিলুপ্ত করা হলেও এ ধারার অনুরূপ বেশকিছু বিধান রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’র পাস করা হয়েছে। শুরু থেকেই এ আইনের উপরোক্ত ৯টি ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে গণমাধ্যমকর্মী ও সম্পাদক পরিষদ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন প্রথম করা হয় ২০০৬ সালে। পরে ২০১৩ সালে শাস্তি বাড়িয়ে আইনটিকে আরও কঠোর করা হয়। এ আইনের ৫৭ ধারায় গত কয়েক বছরে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বহু মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ