প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : না। এমন কোনো নিয়ম শরিয়তে স্বীকৃত নয়। মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর লোকজন কিছুটা দূরে সরে গেলেই ফেরেশতাদের প্রশ্নোত্তর শুরু হয়। কবরের বাইরে থেকে ওয়ারিশান বা হুজুররা কোনো নির্দেশনা দিলেও কবরে শায়িত ব্যক্তির এতে কোনো উপকার হয় না। এটি নির্ভর করে প্রথমত আল্লাহর রহমত ও পরে মৃত ব্যক্তির ঈমান আমলের ওপর। এক হাদিসে পাওয়া যায়, স্বয়ং নবী করিম সা. জনৈক মৃতের কবর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আসসাবাত, আসসাবাত’ অর্থাৎ প্রশ্নোত্তরের সময় দৃঢ় থাক। এ ঘটনা জীবনে আর কখনো ঘটেনি। সাহাবায়ে কেরাম এটিকে সুন্নত বা শরিয়ত হিসেবে গণ্য করেননি। অতএব, ঢালাওভাবে এমন কোনো আমল করা ঠিক হবে না। অবশ্য মৃত্যু শয্যায় কোনো ব্যক্তিকে কালেমার কথা স্মরণ করানো বা তার সামনে কালেমা পাঠ করে তার দৃষ্টি আকর্ষণ সুন্নতে পাওয়া যায়। শরিয়ত যাকে ‘তালকীন’ বলে। এটিও খুব সহৃদয়ভাবে দু’য়েকবার মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির সামনে উচ্চারণই যথেষ্ঠ। তার মুখ থেকে উচ্চারণ শোনা জরুরি নয়। হাদিসে তাকে বিরক্ত করতেও মানা করা হয়েছে। এমন যেন না হয়, মৃত্যু যন্ত্রণার অস্থিরতায় তার মুখ থেকে যেন ‘পড়ব না, তোমরা সরে যাও’ এ ধরনের কোনো বিরক্তি সূচক উক্তি না বের হয়। কালেমা তার অন্তরে থাকায় যথেষ্ঠ।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।