পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানকে নিয়ে সময় টেলিভিশনের লাইভ টকশোতে দেওয়া নিজের বক্তবের ‘ভুল তথ্য স্বীকার’ করে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম। তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরে ভুল শব্দচয়ন ও শব্দবিভ্রাটের জন্য সেনাপ্রধানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এর আগে ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায় সেনা সদর। নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে গতকাল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশে বিদ্যমান সামগ্রিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কী করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শান্তি ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা স্থাপন করা যায় তা নিয়ে সচেতন নাগরিকের মতো আমিও চিস্তিত ও উদ্বিগ্ন। দেশে মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আইনের সংকীর্ণতার কারণে আমার বিকল কিডনি রোগের উত্তম চিকিৎসা সুলভে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে সম্ভব নয়। জীবনরক্ষার জন্য আমাকে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন চার ঘণ্টা করে হোমাডায়ালাইসিস করতে হয়। ডায়ালাইসিসের পর স্বাভাবিক কারণে শারীরিক দুর্বলতা বাড়ে এবং মানসিক স্থিতি কিছুটা কমে। সময় টেলিভিশনের বিশেষ অনুরোধে শারীরিক দুর্বলতা নিয়েই আমি ৯ অক্টোবর রাত ১০টায় তাদের টকশোতে অংশ নিই। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এবং আওয়ামী লীগ নেতা নুহ-উল আলম লেনিন। টকশোতে আমি দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এম এ আজিজ সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম। জেনারেল আজিজ একজন দক্ষ আর্টিলারি সেনা কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি ছিলেন না কমান্ডডেন্টও ছিলেন না। তিনি তার কর্মজীবনের এক সময়ে চট্টগ্রামে সেনাছাউনিতে আর্টিলারি প্রশিক্ষক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল হয়নি। একবার কোর্ট অব এনকোয়ারি হয়েছিল। ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত ও মর্মাহত।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনী বা জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না; কোনও অভিপ্রায়ও নেই। আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরবে আমি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ শেষে আমিও প্রথম কুমিল্লা কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল চালু করি। পরে আমি ও ডা. আজিজুর রহমান ঢাকা কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল চালু করি। জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করার কোনও চিন্তা-উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমি খোলা মনে আরও বলেছিলাম, তার ছোট ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের দায়-দায়িত্ব জেনারেল আজিজের ওপর বর্তায় না। চরম দন্ডপ্রাপ্ত জোসেফকে দন্ড থেকে মুক্ত করেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। জেনারেল আজিজকে কোনও মনোকষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্য আমি পুনরায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। উল্লেখ প্রয়োজন যে, আমি ইতোমধ্যে বিগত দুই দিন কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে আমার বক্তব্যে ভুল শব্দচয়ন ও শব্দবিভ্রাটের বিষয় প্রকাশ করে সেনাপ্রধানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। চূড়ান্তভাবে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতেই এই সংবাদ সম্মেলন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।