পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিশেষ সংবাদদাতা ঃ চলমান নৌশ্রমিক ধর্মঘটে ব্যবসায়ীদের অব্যাহত লোকসানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিপার্স কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ (এসসিবি)। ধর্মঘটের কারণে যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে না পারায় প্রতিটি বড় জাহাজের জন্য দিনে ১০ হাজার ডলার অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হবে আমদানিকারকদের। অন্যদিকে জাহাজ খালি না হওয়ায় রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার জাহাজিকরণ করা যাচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে অদ্যাবধি লাইটার জাহাজসহ সবধরনের নৌযান শ্রমিকগণ মজুরি বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এপর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রায় ৫৯টি বড় জাহাজ পণ্য খালাস করতে পারছে না এবং পণ্যসহ ছয় শতাধিক লাইটার জাহাজ বিভিন্ন ঘাটে অবস্থান করছে। এতে করে গার্মেন্টস, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল পরিশোধনসহ অন্যান্য আমদানিনির্ভর শিল্পকারখানায় কাঁচামাল সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত মাশুল ও সরবরাহ সংকটের কারণে ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানিতেও বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এসসিবি।
বিবৃতিতে এসসিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, এ ধর্মঘট চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সর্বোপরি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন চরমভাবে বাধাগস্ত ও হুমকির মুখে পড়বে।
রেজাউল করিম অনতিবিলম্বে এ অচলাবস্থা নিরসনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও নৌমন্ত্রী প্রতি বিশেষ আহŸান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।