পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটার পর একটা হত্যাকান্ড ঘটানো হচ্ছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকার আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেবে, কেউ বাঁচতে পারবে না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিশেষ করে ব্লগার বা সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর আঘাত হচ্ছে। এটা সরকার সহজে নেবে না। সরকার কারও ওপর আক্রমণ করে নয়, আইনী প্রক্রিয়ায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কেউ বাঁচতে পারবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তো এখন ক্ষমতায় নেই। সময় আছে অনেক, তারপরও তারা রাজনীতিতে সময় দেয় না। মাঝে মাঝে আসে, এক দিন দুই দিন কথা বলে। তিন মাস, চার মাস খবর থাকে না। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। সরকারের ব্যর্থতা কিসের?
ওলামা লীগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ক্লিয়ার করেছেন, ওলামা লীগ আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠন নয়। তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিলে এটা তাদের বিষয়। এখন অনেকেই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ নির্বাচন হলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সেখানে কিছু কিছু ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও কিছু ঘটছে। তবে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যেটা জাতির জন্য চিন্তা কারণ কিংবা চ্যালেঞ্জ হবে। নির্বাচন শেষ হলে এটা মানুষ ভুলে যাবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দল লাভবান হচ্ছে, রাজনীতি লাভবান হচ্ছে, সংবিধান লাভবান হয়েছে। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। এর আগে মারামারি-কাটাকাটি সারা দেশেই ছিল। এবার সেটা হয়নি। রাজনৈতিক শৃঙ্খলার কারণে সহিংসতা মিনিমাম পর্যায়ে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। আমাদের এখানেই ছিল ব্যতিক্রম। আমাদের দেশে এই ট্রাডিশন ছিল না। শুধু জাতীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে অন্য নির্বাচনগুলো নির্দলীয়ভাবে, এটা সামরিক শাসকদের মাথা থেকে এসেছে। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল, অরাজনৈতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার যাওয়া শক্তিশালী হবে। আমরা এটা শুরু করেছি। আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো দলীয়ভাবে এই নির্বাচন হবে। আরেকটা নির্বাচনের পর এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হয়ে যাবে।
সৈয়দ আশরাফ জানান, আগামী ৩০মে তারিখের মধ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভবনটি খালি করা হবে। আগামী জুন মাসে পুরাতন ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। ২ বছরের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, বিগত ৬ এপ্রিল আমাদের দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকা সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে আলাদা অফিস নিয়ে বর্তমান ভবনটি খালি করে দিতে হবে। বর্তমান ভবন খালি হওয়ার পর ভাঙার কাজ শুরু হবে। রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নতুন ভবনের নকশা ও পাইলিংসহ সমূদয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মূল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।
এর আগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।