পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে প্রায় সব মাছের দাম। মাছের প্রকার ও বাজারভেদে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময় যাতে কেউ ইলিশ মাছ ধরতে ও বিক্রি করতে না পারে সে জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। বাজারে ইলিশ না থাকায় মাছের দাম বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মাঝারি আকারের প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে। অথচ এই আকারের রুই মাছের দাম কিছুদিন আগে ছিল ২৬০-২৮০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি বড় আকারের রুই মাছ ৩৫০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যা সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেজি ৩০০-৩৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর ছোট আকারের রুই মাছ প্রতি কেজি এখন ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে যা কিছু দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা বা তারও কমে।
গত এক-দেড় মাসে রাজধানীর যে কোনো মাছের বাজারে অন্যান্য মাছের চেয়ে ইলিশের সরবরাহ ও চাহিদা ছিল বেশি। এক পর্যায়ে ইলিশ বেশ সস্তা হয়ে যাওয়ায় মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল কিনতে।
উল্লেখ, ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে গত ৭ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত, সংরক্ষণ ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন অন্য মাছ কিনছেন ক্রেতারা। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ইলিশ না থাকায় অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি চলতে থাকায় বাজারে মাছের সরবরাহও কমেছে। মাছের দাম কিছুটা বেশি থাকার এটাও একটা কারণ।
এছাড়াও প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগে এই মাছের দাম ৪০০-৪৫০ টাকাতে নেমে এসেছিল। বিভিন্ন আকারের প্রতি কেজি টেংরা বাজারভেদে ৪৫০-৫৫০ টাকা, শরপুটি আকারভেদে ২০০-২১০ টাকা কেজি, তেলাপোয়া কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাস কেজি ১৩০-১৫০ টাকা, চাষের শিং ও মাগুর মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কিন্ত নিয়মিতভাবেই পাঙ্গাস মাছ ১১০-১২০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা কেজি, সরপুঁটি সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে সব চেয়ে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম। অবশ্য গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে শিমের দাম কিছুটা কমে একশ’ টাকার নিচে নেমছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে আবার একশ’ টাকা ছাড়িয়ে যায় শিমের কেজি। আগের সপ্তাহের মতোই শুক্রবারও বাজার ও মান ভেদে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকায়।
অন্যদিকে সবজির বাজারে শীতের সবজি শিমের পাশাপাশি ১০০ টাকার উপরে কেজি বিক্রি হওয়া সবজির তালিকায় রয়েছে টমেটো ও গাজর। বাজার ও মান ভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। গত সপ্তাহেও এ সবজি দু’টির দাম এমনই ছিল। একশ’ টাকার উপরে বিক্রি হওয়া এ তিন সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের অন্যতম আগাম সবজি ফুলকপি। সবজিটি দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমদিকে ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হলেও এখন কোনো বাজারেই এ সবজিটি ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ফুলকপির পিস ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা শীতের আগাম আরও এক সবজি মূলা পাওয়া যাচ্ছে প্রায় এক মাস ধরে। শুরু থেকেই এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার উপরে। গত সপ্তাহে কিছু কিছু বাজারে মূলার কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার এ সবজিটির দাম কিছুটা কমে বাজার ভেদে ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব সময় বাজারে পাওয়া যাওয়া বেগুন, উচ্ছে, বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুদল, ধেঁড়স, লাউয়ের দাম এখন কিছুটা চড়া।
বাজার ভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। উচ্ছের দাম বেড়ে ৬০-৭০ টাকা কেজি, তবে করলার দাম কিছুটা কম। এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বরবটি ৬০-৭০ টাকা কেজি। এ ছাড়া চিচিংগা, পটল, ধেঁড়স, ঝিঙা, ধুনদল, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা কেজি। আগের সপ্তাহেও এ সবজিগুলোর দাম এমনই ছিল। তবে কিছুটা কমেছে লাউয়ের দাম। গত সপ্তাহে ৫০-৬০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম কমে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে আগের সপ্তাহের মতো ১৫-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, বয়লার মুরগির। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা ২৫০ গ্রাম। আর বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।