Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উন্নত যোগাযোগে এশিয়ান হাইওয়ে

প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ভারতের সঙ্গে উচ্চ সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক জোন তৈরির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ক্রসবর্ডার নেটওয়ার্ক’ উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ক্রসবর্ডার নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (বাংলাদেশ) উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে করে এশিয়ান হাইওয়ের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। এটিসহ মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ৬ হাজার ৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী জরাজীর্ণ সড়ক ও সেতুর উন্নয়ন করা হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সহায়তায় ক্রসবর্ডার নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (বাংলাদেশ) প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটি মে ২০১৬ হতে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
তিনি জানান, আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। সেতু কর্তৃপক্ষের আপত্তি ও যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পদ্মাসেতুতে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানা হচ্ছে না। এটি এখন টানা হবে পদ্মা সেতু থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নদীর গভীর দিয়ে। সাভারের আমিনবাজার-মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং (মাওয়া) ও খুলনা জেলার বাগেরহাট, মংলা জেলা দিয়ে। আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে মাওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইভাকুয়েট করার ব্যবস্থা করা যাবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ১ হাজার ৩৫৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো Ñ ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দিনাজপুর-চিরিরবন্দর-পার্বতীপুর সড়ক প্রশস্তকরণ (জেড-৫০২৫) প্রকল্প, ৩৫ ঢাকাস্থ শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে ভবন নির্মাণ, ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীতীর সংরক্ষণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ প্রকল্প, ২১১ টাকা ব্যয়ে পানি ভবন নির্মাণ (১ম পর্যায়) প্রকল্প, ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ৯০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের ১ম পর্যায় প্রকল্প। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন বিষয়ে ছাত্রীদের পড়ালেখা করাতে হবে। যেমনÑহোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল, ক্যাটারিং, সেফ বা সোলার এনার্জি ইত্যাদি নতুন নতুন বিষয় আনতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উন্নত যোগাযোগে এশিয়ান হাইওয়ে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ