Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র একাংশের অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করেছে। এত নিকৃষ্ট আইন বিশ্বের আর কোথাও নেই। সাংবাদিক সমাজ ঘৃণা ভরে এ কালো আইন প্রত্যাখান করছে। জনগণ এবার এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। আর জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে এই কালো আইন আইনের শাসনের চূড়ান্ত পতন ঘটবে। সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে এ আইন বাতিল করার আহবান জানান। গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সাংবাদিকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে এবং রাস্তায় ক্যামেরা রেখে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসময় প্রতিবাদী সাংবাদিকরা কালো আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী’র সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, বিএফইউজে’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল আমিন রোকন, সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সহকারী মহাসচিব আহমেদ মতিউর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সভাপতি একেএম মহসীন প্রমুখ।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত আইন। এই কলঙ্কিত আইন সাংবাদিক সমাজ মানে না। এ আইন সাংবাদিকসহ দেশের সকলকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দিয়েছে। কেউ স্বাধীনভাবে লিখতে ও বলতে পারবে না। স্বাধীন দেশে এমন আইন বাস্তবায়ন হতে পারে না। এ আইন বাক-স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ও পরিপন্থি। এ আইন বাতিলের দাবিতে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। যতদিন এ আইন বাতিল না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে।
শওকত মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ঘৃণিত আইন পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা- আমার জানা নেই। এ আইনে কেউ স্বাধীনভাবে লিখতে পারবে না। কারো কাছে ই-মেইল আসলে বা কেউ পাঠালে সেটা যদি সরকারের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তাকে সাজা পেতে হবে। রিপোর্টার হিসেবে স্বাধীনভাবে লিখতে পারবে না। এ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিরোধী মতের মিডিয়াগুলোকে অপসারন করা হবে। কেউ যেনো সরকারের সমালোচনা করতে না পারে এজন্যই এ আইন কার্যকর করা হয়েছে। এমন কালো আইন সাংবাদিক সমাজ মানবে না। এসময় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দেলনে শরিক হওয়ার আহবান জানান।
হামবানতোতায় কোনো চীনা সামরিক ঘাঁটি
হবে না : শ্রীলঙ্কা
ইনকিলাব ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা বন্দরে চীন সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করেছে কলম্বো বুধবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কৌশলগত এই বন্দরটি চীন ৯৯ বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ইজারা নিয়েছে। চীনের কাছ থেকে নেয়া ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ইজারা দিতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা।
বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র রুটে অবস্থিত। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপজুড়ে যে অসংখ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, হামবানতোতা বন্দর এর অন্যতম। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ এর মিত্ররা এই উদ্যোগে উদ্বিগ্ন।
গত সপ্তাহে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, হামবানতোতা বন্দর অল্প সময়ের মধ্যেই চীনের ক্রমবর্ধমান গভীর মহাসাগরীয় নৌবাহিনীর জন্য অগ্রসর সামরিক ঘাঁটি পরিণত হবে।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্গের অফিস জানিয়েছে, হামবানতোতায় কোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি থাকবে না। এতে আরো বলা হয়, বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনে অবস্থানরত বিক্রমাসিঙ্গের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার তার অফিস থেকে জানানো হয়, বন্দরটির নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য আমাদের নৌবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ডকে হামবানতোতায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিক্রমাসিঙ্গে বলেন, শ্রীলঙ্কা একটি বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে। এতে হামবানতোতা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে। এই প্রকল্পটিও চীনা বিনিয়োগে করা হয়েছিল। তবে তা ব্যাপক লোকসানে রয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় ক্রমবর্ধমান চীনা আগ্রহে উদ্বেগ প্রকাশ করছে আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত।
গত আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে সে শ্রীলঙ্কার নৌশক্তি বাড়ানোর জন্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি দেবে। একইসাথে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ