Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দেশে সাড়ে ৩৪ লাখ শিশু শ্রমিক

প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশে সাড়ে ৩৪ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু)।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে এ তথ্য জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চাইল্ড লেবার সার্ভে ২০১৩ অনুযায়ী ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের জরিপ তুলে ধরে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার জাতীয় শিশু শ্রম নিরসনে নীতি ২০১৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও অন্যান্য শিশুশ্রম থেকে দেশের শিশুদের রক্ষা এবং তাদের কল্যাণের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৫ সাল জুন ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৩টি পর্যায়ে মোট ৯০ হাজার শিশু শ্রমিককে ১৮ মাসব্যাপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ৬ মাসব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে তোলা হয়েছে। এভাবে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বের করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়া সরকারি অর্থায়নে ৮৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিতত শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০ হাজার শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
১৪ বছরে ৫১৬ বার ভূমিকম্প
দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, বিগত চৌদ্দ বছরে সারাদেশে ৫১৬ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫১৬ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৩১ বার, ২০০২ সালে ৪৩ বার, ২০০৩ সালে ৪২ বার, ২০০৪ সালে ৩৯ বার, ২০০৫ সালে ৩০ বার, ২০০৬ সালে ২৭ বার, ২০০৭ সালে ৩১ বার, ২০০৮ সালে ৩৬ বার, ২০০৯ সালে ৩৪ বার, ২০১০ সালে ৩৮ বার, ২০১১ সালে ৩৭ বার, ২০১২ সালে ৩৪ বার, ২০১৩ সালে ৩৫ বার, এবং ২০১৪ সালে ২৫ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মন্ত্রী জানান, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকম্পের সময়, ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে জনগণের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার ও লিফলেট বিতরণ, বিলবোর্ড স্থাপন ইত্যাদি সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
এছাড়া ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে সফল অংশগ্রহণের জন্য ৬২ হাজার আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভলান্টিয়ার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
স্বামীসহ বিদেশ যেতে পারবে নারী শ্রমিক
আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি জানান, বিদেশ গমনেচ্ছুক নারী শ্রমিকরা স্বামী, ভাই ও সন্তান নিয়েও সৌদি আরব যেতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরবে নারী শ্রমিকরা তাদের স্বামী, সন্তান ও ভাইকে নিয়ে যেতে পারবে।
বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজ চালুর পর সার্ভারের তথ্যানুযায়ী ২০০৪ সালের ১৫ জুন থেকে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিক ছাড়পত্র নিয়ে ৬৮টি দেশে গমন করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশে সাড়ে ৩৪ লাখ শিশু শ্রমিক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ