পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮ টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানে সামাদ আজাদের কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
এছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে সকাল ৭টায় ৮৩, লেকসার্কাস কলাবাগানে মরহুমের বাসভবনে কোরানখানি ও লেকসার্কাস লেকভিউ জামে মসজিদে বাদ আছর দোয়া মাহফিল এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুস সামাদ আজাদের সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ভুরাখালি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪০ সালে সুনামগঞ্জ জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৪৬ সালে একই সংগঠনের অবিভক্ত আসামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট থেকে এম.এল.এ নির্বাচিত হন এবং আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সর্বদলীয় রাজনৈতিক জোট এন.ডি.এফ এর দপ্তর সাম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠকের একজন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন এবং জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভায় সফল পররাষ্টমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের শেষ নির্বাচনে দল হারলেও আব্দুস সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হন। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।