পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কলাবাগানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানসহ একাধিক হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সহিংস রক্তপাত ঘটানো ছাড়া ভোটারবিহীন বর্তমান সরকারের টিকে থাকার অন্যকোন পথ খোলা নেই। মানুষের নিরাপত্তা এখন লাশবাহী গাড়িতে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের নিরাপত্তা, ভোটাধিকার, নির্বাচন ও গণতন্ত্র¿ এখন লাশবাহী গাড়ীতে। দেশ পরিচালনায় জনগণের সমর্থন না থাকায় খুন-জখম টিকিয়ে রাখাকেই সরকার পরিত্রাণের পথ মনে করছে।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশে যে কোনো হত্যাকা-কে নিজেদের স্বার্থে অতি অবিশ্বাস্য কল্পকাহিনী রচনা করা আওয়ামী লীগের স্বভাবধর্ম। দেশব্যাপী বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায় ও বিদেশী হত্যার ঘটনাগুলোতে তারা একের পর অপপ্রচার চালিয়েছে। বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে। ভোটারবিহীন সরকারের এসব অপকৌশল মূলত প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া ও আসল অপরাধীদের আড়াল করা।
বিএনপি প্রধান বলেন, সরকার প্রধান যতই উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী করুক না কেন তাভেল্লা হত্যাকা- থেকে শুরু করে জুলহাজ মান্নান, মাহবুব তনয় ও রুস্তম আলী পর্যন্ত প্রতিটি হত্যাকা-ের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে। তিনি যতই উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করুন না কেন, জাতীয় অর্থনীতির হরিলুট, রাজকোষ চুরির ঘটনা এড়াতে যতই অপকৌশল করুন না কেন জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করতে পারবেন না। তাদের (সরকার) এজন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করতেই হবে।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বিপজ্জনক। দেশের মানুষ এক ভয়াল নৈশব্দের মধ্যে আতঙ্কে দিন যাপন করছে। ব্যাংকার, শিক্ষক, এনজিও কর্মী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ছাত্র, নারী, শিশুসহ অনেককেই রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে জীবন দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যেন একটি পিশাচ দ্বীপে বসবাস করছি। সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চা এখন কেবলমাত্র কবরেই সম্ভব।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণেই ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা উৎসাহিত হয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে, ব্যালট পেপারে বেপরোয়া সীল মারে এবং অস্ত্রের মুখে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়, খুন-জখমসহ নানাবিধ অনাচারে লিপ্ত থেকে দেশকে অতল গহ্বরের দিকে ঠেলে দেয়। এ সব কারণে দেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এখন আর স্বাভাবিক মৃত্যুর আশা করে না।
বেগম খালেদা জিয়া দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু সাংবাদিক মাহবুব রাব্বী তনয় এবং কারারক্ষী রুস্তম আলীকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাম্প্রতিক এসব হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্য। দেশকে সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে রক্ষা করতে জনগণের ঐক্যের বিকল্প নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।