পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামালা মামলার রায় ঘোষণার পর সারাদেশে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল করা হয়। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউতে আনন্দ মিছিল করেছে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ, মৎসজীবি লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান খান বোরহান প্রমুখ।
মিরপুরে সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল হয় তেজঁগাওতে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে টিএসসিতে আনন্দ মিছিল হয়। উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান ও ১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার আফসার উদ্দিনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল কয়েকটি সড়ক পদক্ষিন করে। এছাড়া কাকরাইল, ওয়ারি, শ্যামপুর, দক্ষিণ খান, উত্তরখান, খিলক্ষেত, আগারগাঁও, পল্টনে আনন্দ মিছিল হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর পাশাপাশি সারাদেশে আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম ব্যুরো সংবাদদাতা জানান, আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর নগরীতে আনন্দ মিছিল সমাবেশ ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘বিএনপির নাশকতা’ ঠেকাতে মহানগরীর ১৭টি স্পটে টানা তিনদিন অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। তবে গতকাল কয়েকটি স্পটে তারা সমাবেশ করেছে। রায়কে স্বাগত জানিয়ে আকবরশাহ এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রলীগ। আনন্দ মিছিল হয়েছে আন্দরকিল্লা, বহদ্দারহাট ও নিউমার্কেট এলাকায়।
দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, রাজপথই শেখ হাসিনার শক্তি। আমরা রাজপথ ছাড়বো না। এতে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম এ রশীদ, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, জহরলাল হাজারী, আবুল মনসুর, হাজী বেলাল আহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান: রায়ের পর ফরিদপুরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সাথে সাথে উল্লসিত হয়ে নানা স্লোগান দেয় উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মুনীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মতলব উত্তর (চাঁদপুর) সংবাদদাতা জানান: হামলার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন হামলায় নিহত আতিক উল্যাহ পরিবার। স্বামী আর পিতৃহত্যার বিচারের প্রতীক্ষায় ছিলেন আতিকের স্ত্রী ও চার সন্তান। রায়ে পর পরই সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম। ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন অপেক্ষা দ্রুত রায় কার্যকরের। সরকারের কাছে রায় দ্রæত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। আতিকের বৃদ্ধা মা বলেন, উপার্জনক্ষম ছেলে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়েছিলাম। খুনিদের বিচার হয়েছে। বেঁচে থাকতে খুনিদে ফাঁসি দেখতে চাই। বড় ছেলে মিথুন জানান, শিশু বয়সে বারা হারানো যে কত কষ্টের যারা না হারিয়েছে তারা বুঝবে না। বাবা হত্যার বিচার পেয়েছি। এবার রায় কার্যকর দেখতে চাই। এরায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এলাকার মানুষ।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান: গ্রেনেড হামলার রায় দেয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ১২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে দিনব্যপী উপজেলার বিশ^রোড, রুপসী, বরপা, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন মায়ারবাড়ী, নিলা মার্কেট, কালনি, বটতলা, চনপাড়া, ভক্তবাড়ী ও কাঞ্চন এলাকায় অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। রায়ের পর নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাত যাতে কোন প্রকার নাশকতামুলক বা নৈরাজ্যে কর্মকান্ড ঘটাতে না পারে সে জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে অবস্থান নেন তারা। স্পট গুলো পরিদর্শণ করেন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, তারাব পৌরসভার মেয়র মিসেস হাসিনা গাজী।
স্পট গুলোতে নেতৃত্বে দেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আরিফুল হক ভুইয়া, তারাবো পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ভুইয়া, থানা আওয়ামীলীগ সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তাবেল, উপজেলা যুব লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য কামরুল হাসান তুহিন, সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মেহের, সাধারন সম্পাদক নাইম ভুইয়া, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শীলা রানী পাল, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জায়েদ আলী, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন ভুইয়া, সালাউদ্দিন দেওয়ান, তারাবো পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম মনির, রিটন প্রধান, রফিকুল ইসলাম রফিক, ইমন হাসান খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, জহিরুল ইসলাম, আমির হোসেন, রুহুল আমিন ফরাজি, বিউটি আক্তার কুট্রি, ফেরদৌসী আক্তার, সেলিনা আক্তার রিতাসহ আরো অনেকে।
নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়েছিলো। আর ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলো তখনকার সরকার। পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি আলোর মুখ দেখে। মামলার রায়ে আজ বাঙ্গালী জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
সাভার সংবাদদাতা জানান: গ্রেনেড হামলায় আহত সাভারের মাহবুবা পারভীন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ ধরে যে যন্ত্রনা বয়ে বেড়াচ্ছি, কিছুটা হলেও এ রায়ের মাধ্যমে স্বস্তি পাচ্ছি। তবে আর বেশি খুশি হতাম যদি গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসি হতো। মাহবুবা পারভিন বলেন, গ্রেনেড হামলায় আমি বেঁচে গেলেও এখনো শরীরে রয়েছে প্রায় ১৮শ’ স্পিন্টার। যার যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আগস্ট এলেই এর ভয়াবহ স্মৃতি মনে পড়লে এখনও আঁতকে উঠি। সেই স্মৃতি আজো তাড়া করে বেড়ায়, কান্নায় চোখ মুখ ভিজে যায়।
শরীরে এতো যন্ত্রনা সহ্য করে এই মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন তিনি। আজকে রায়ের মধ্য দিয়ে তার অপেক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে যারা হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছে, আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো তাদের শাস্তি দেখে যেতে পারবো কিনা সে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম, অবশেষে এই রায়ের মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটেছে। এখন মৃত্যুর আগে রায় কার্যকর দেখে যেতে পরলেই হয়।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান: ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম আসামী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই জঙ্গী নেতা তাজ উদ্দিনের ফাঁসির দন্ড হওয়ায় তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা জনতা। তবে এ মিছিল থেকে এ মামলার প্রধান আসামী যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ফাঁসির দাবী জানানো হয়। রায় ঘোষনার পরপরই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে। পরে জেলা আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেয়।
তিতাস (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় যুবলীগের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে যুবলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট সংলগ্ন যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে সমবেত হয়। দুপুর ১২টায় রায়ের পর যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ লালন শিকদার ও মুকবুল মাহমুদ প্রধান এর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। এরপর হোমনা- গৌরীপুর সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা সদর কড়িকান্দি বাজারে গিয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তি যোদ্ধা মো. শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।