পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া নতুন তিন বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেছেন। তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জিনাত আরা, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দীকী ও বিচারপতি নূরুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। নব নিযুক্ত বিচারপতি জিনাত আরা হলেন দ্বিতীয় নারী; যিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাজমুন আরা সুলতানা।
বিগত ৫ বছর ধরে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তার সহোদর বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীও আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন। এখন থেকে দুই ভাই আপিলের বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন। দুই ভাইয়ের একসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়াকে অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন এটা ইতিহাসে এটাই প্রথম।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোটের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন। শপথের পর আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাস কক্ষে তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিল না। সিনিয়রটি ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ না দেয়ার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জণ করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি এজলাসে বসেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল একে একে নবনিযুক্ত তিন বিচারকের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন। বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন তিন বিচাপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন। বিচারপতি জিনাত আরা মামলা জটকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা নিরসনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বার এবং আইনজীবীদের সহযোগিতা চান তিনি। তিনি বলেন, আইনের শাসন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিচারপ্রার্থী মানুষের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। মামলা জট নিরসনের ক্ষেত্রে সফল না হলে বা মামলা জট বাড়তে থাকলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস হারাবে। বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে লালিত একটি পরিবার থেকে আমি উঠে এসেছি। মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগে যেমন সচেষ্ট ছিলাম, এখনও থাকব। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, আইনজীবী হিসেবে এবং পরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে আদর্শ, সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবেও আদর্শ ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য শপথ নিয়েছি। সে শপথ রক্ষা করব। সংবর্ধনার পর প্রধান বিচারপতি বিচারকাজ শুরু করেন।
দ্বিতীয় নারী সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন: হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠতার ক্রমে চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিচারপতি জিনাত আরা হলেন দ্বিতীয় নারী যিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন। তার আগে বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত আপিল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। বিএসসি ও আইন পাস করে ১৯৭৮ সালে মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালন শুরু করেন জিনাত আরা। ১৯৯৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ হন। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ১৯৫৩ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করা বিচারপতি জিনাত আরা অবসরের বয়সসীমা অনুযায়ী আরও দুই বছর সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন
দুই ভাই আপিল বিভাগের বিচারপতি: বিগত ৫ বছর ধরে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তার আপন বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন। এখন দুই ভাই একসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দুই ভাইয়ের একসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়াকে অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনরা। আজ এজলাস কক্ষে নতুন বিচারপতিদের সংর্বধনা অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আজকে বিচার বিভাগের জন্য স্বরণীয় দিন। সহোদর দুই ভাই বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে লালিত পরিবার থেকে দুই ভাই আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েছেন। একই অনুষ্ঠানে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, এটা অবশ্যই গৌরবের এই প্রথম দুই ভাই একসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েছেন। ইতিহাসে এটাই প্রথম। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, দুই ভাইয়ের একইসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।