পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্টের সদ্য অনুমোদন দেওয়া ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। এই আইনটি ব্যক্তি স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ করবে। অন্যদিকে, পাস হওয়া আইনটির মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী ক্ষমতা প্রয়োগের অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করবে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা সামডাসানি জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে রাভিনা সামডাসানি বলেন, গত সোমবার বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস করেছে। পাস হওয়া আইনটি খুবই উদ্বেগের কেননা, এই আইনটির ধারাগুলো মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। আইনটি ব্যক্তি স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি সাংবাদিক, ব্লগার, ভাষ্যকর, কলামিস্ট, ইতিহাসবিদসহ মুক্তমতের চর্চায় বাধার সৃষ্টি করবে। শুধু একক ব্যক্তি নয়, আইনটি গোটা সমাজের মত কাশের স্বাধীনতাতে হস্তক্ষেপ করবে। বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কমিশনারের মুখপাত্র বলেন, আইনটি পুলিশ বিভাগকে ব্যাপক শক্তিশালী করেছে। পুলিশের সদস্যরা এই আইনের কারণে বিনা ওয়ারেন্টে যে কাউকে আটক করার ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে। এই আইনের একাধিক ধারা জামিনযোগ্য নয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা খুবই উদ্বেগের।
রাভিনা সামডাসানি বলেন, নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক অঙ্গনে যে অঙ্গিকার করেছে আইনটি পাসের ফলে সেই অঙ্গিকার এখন প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংশোধন করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার চর্চা করার, যাতে নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রয়োজনে এই বিষয়ে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।