পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো হুমকি না থাকলেও সতর্ক থাকবে পুলিশ। কোনো পক্ষ নাশকতার চেষ্টা করে তাদের শক্ত হাতে দমনের জন্য প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, রায় ঘোষণার দিন আসামি ও ঢাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতের চারপাশের সড়কে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। শহরজুড়ে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি।
এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত 'ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে' ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এ রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই এবং নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আদালতের একটা স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ।
রায় উপলক্ষে পুলিশ সতর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নজরদারি রয়েছে। এ রায়কে কেন্দ্র করে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সহিংসতার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে, কোনো ধরনের অপতৎপরতা বরদাসত করা হবে না।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, রায়কে ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো পলিটিকস করি না, কিন্তু জনগণের জান-মাল রক্ষা করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কেউ দেশের স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। সহিংসতার চেষ্টা করলে কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেয়া হবে আগামীকাল বুধবার। এই মামলায় ৩১ জন কারাগারে ও ১৮ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে আইনগতভাবে কুটনৈতিক তত্পরতা চালনো হলেও তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকায় ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে আরও ২০ জনের। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।