পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ প্রধান বিচারপতির সুপারিশে তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন। তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি জিনাত আরা, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান। এখন থেকে এই তিন বিচারপতি আপিল বিভাগে বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন। এতে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা হল সাতজন। আজ (মঙ্গলবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগের নতুন বিচারপতিদের শপথ পড়াবেন। এবার বিচারপতি জিনাত আরা হলেন দ্বিতীয় নারী যিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন। এর আগে আগে বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। এর আগে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ১১ জন। একই সঙ্গে গত নভেম্বর পর্যন্তও দুটি বেঞ্চে বিচার কাজও চলেছিল। আপিল বিভাগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। প্রায় পৌনে তিন বছর পর আবারো তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলো।
দীর্ঘ দিন বিচারপতি নিয়োগ না দেয়ায় আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে বিচারক স্বল্পতাই মূল কারণ মনে করেন আইনজ্ঞরা। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করলেই বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। সংবিধানের ৯৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ এবং নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে প্রধান বিচারপতি সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আপিল বিভাগের নতুন সদস্যদের শপথ পড়াবেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন। ।
হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠতার ক্রমে চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিচারপতি জিনাত আরা হলেন দ্বিতীয় নারী যিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন। তার আগে বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত আপিল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। বিএসসি ও আইন পাস করে ১৯৭৮ সালে মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালন শুরু করেন জিনাত আরা। ১৯৯৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ হন। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ১৯৫৩ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করা বিচারপতি জিনাত আরা অবসরের বয়সসীমা অনুযায়ী আরও দুই বছর সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ২০০৯ সালের ৩০ জুন একইসঙ্গে হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান এবং দুই বছরের মাথায় স্থায়ী হন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের তালিকায় তারা যথাক্রমে ২৫ ও ২৬তম ক্রমে ছিলেন। ১৯৫৪ সালের ২৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করা আবু বকর সিদ্দিকীর ছোট ভাই হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও আপিল বিভাগের বিচারক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি নেয়ার পর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া বারে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন আবু বকর সিদ্দিকী। পরের বছর মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগের চাকরিতে যোগ দেন এবং ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হন। এর এক যুগ পর তিনি ডাক পান হাইকোর্টে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের জন্ম ১৯৫৬ সালে। একাত্তরে তিনি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি নেয়ার পর আইন পেশায় যোগ দেন মো. নূরুজ্জামান। ১৯৮৩ সলে জেলা আদালত এবং ১৯৮৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি বিচারক হিসেবে যোগ দেন হাইকোর্টে। বর্তমানে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ চারজন বিচারপতি রয়েছেন। অন্যরা হলেন, বিচারপতি ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও মির্জা হোসেইন হায়দার। প্রসঙ্গত. একসময় আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ১১ জন। গত নভেম্বর পর্যন্তও দুটি বেঞ্চে বিচার কাজ চলে। আপিল বিভাগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। প্রায় পৌনে তিন বছর পর আবারো তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলো। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।