Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কার্যকর হয়েছে আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করেছেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বিতর্ক সত্বেও কোনোরকম সংশোধন ছাড়াই জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি কার্যকর হলো। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ থেকে এ গমমাধ্যমকে তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় সংসদের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি, উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে। আইনটি পাস হওয়ার প্রতিবাদে সম্পাদকেরা মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। সেখানে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি কোনোরকম সংশোধন ছাড়াই আইনে পরিণত হল।
সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ওই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছে ওইসব ধারা ‘বাক স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থি’। বিলটি নিয়ে সম্পাদক পরিষদ, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ দেশি বিদেশি সংস্থাসমূহের উদ্বেগ ও আপত্তিকে আমলে নেয়া হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। তবে এই আইনটিতেই বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশকে পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে ঢোকানো হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এই আইন লঙ্ঘন হয়, এমন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে। এই আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধ বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এ সময়ে সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে।
আইনে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর বিধানাবলি কার্যকর থাকবে। আইনে ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে অপরাধে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্যও আইনের বেশ কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন। তবে সেসব আপত্তি টেকেনি।
এ ছাড়া সড়ক পরিবহন বিল, ২০১৮, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’য়া আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান বিল, ২০১৮, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল, ২০১৮,পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত¡ শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) বিল, ২০১৮, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০১৮, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট বিল, ২০১৮ বিলে প্রেসিডেন্ট সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ