পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যাগুলো চিকিৎসকরা চিহ্নিত করেছেন।
তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী জানান, খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (গিটে গিটে ব্যাথা বা বাত) রোগে আক্রান্ত। ওনার হাত বাঁকা হয়ে গেছে, হাত তুলতে পারছেন না। এছাড়া ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, বাম উরুর জয়েন্টে ব্যথা ও বাম হাঁটু ফুলেছে।
সোমবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। আর সবকিছু ঠিক থাকলে দুই সপ্তাহ পর তার (খালেদা জিয়া) মূল চিকিৎসা শুরু হবে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাছাড়া তার অনেকগুলো রোগ রয়েছে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে তারপর মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
মেডিসিন বিভাগের সাবেক এই চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার রোগগুলো সম্পর্কে বলেন, মেডিকেল বোর্ড হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে হয়েছে। ওনার মূলত যে রোগ হয়েছে তা হচ্ছে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। এই রোগের কারণে ওনার শরীরের গিঁটে গিঁটে ব্যথা বা বাত সৃষ্টি হয়েছে। এ রোগের ওষুধ তিনি গত ৩০ বছর ধরে খাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক পরিমাণে বা ডোজে খাচ্ছিলেন না। তাই জটিলতা বেড়েছে। এছাড়া বাম হাত বাঁকা হয়ে গেছে বা হাত তুলতে পারছে না, সবসময় কাঁপছে। ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, বাম উরুর জয়েন্টে ব্যথা ও বাম হাঁটু ফুলে গেছে। তাছাড়া ওনার দুই হাঁটু অনেক আগেই রিপ্লেস করা রয়েছে।
এদিকে ২০ বছর ধরে উনি ডায়াবেটিকে ভুগছেন। সেটিও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নেই। আর ওনার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগটি এখন বাড়ছে। তাছাড়া শরীরে সোডিয়াম কমে গেছে এবং শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
এ সময় তিনি বলেন, এর আগে আমরা কারাগারে গিয়ে বলেছিলাম। এমন একটি হাসপাতালে ওনাকে নিয়ে যেতে যেখানে সব ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। সে অনুসারেই উচ্চ আদালত এই হাসপাতালে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আমাদের সবার সঙ্গে উনার এখনো দেখা হয়নি। বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে দুইজন আলাদা আলাদা সময় গিয়েছেন। বর্তমানে ওনার রোগের মেডিকেল হিস্ট্রির কাজ করছেন বাকি সদস্যরা। তবে ওনার যে রোগ রয়েছে সেটা রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক এর অন্তর্গত। তিনি মূল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, ওনার কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণে নেই। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে না এনে ওষুধ দেওয়া যাবে না। তাছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। সেগুলোর রিপোর্ট এনে তখন ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা এখন চিকিৎসার পূর্ব প্রস্তুতিতে আছি। সবকিছু ঠিক থাকলে মোটামুটি দুই সপ্তার মধ্যে মূল চিকিৎসা শুরু করতে পারবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।