পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তবে সৌদি আরবের প্রবাসীরা অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের চেয়ে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন বলে এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসেও ২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে সৌদি প্রবাসীরা।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বিগত তিন মাসেই রেমিট্যান্স পাঠানোর মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। জুলাই মাসে ২৪ কোটি ২৮ লাখ, আগস্ট মাসে ২৬ কোটি ৮৭ লাখ এবং সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে ২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশটি থেকে।
অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, কুয়েত থেকে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার, কাতার থেকে ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৭ কোটি ডলার, ওমান থেকে ৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, ইতালি থেকে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে ৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে এই মাসে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি বাস করেন সেখানে। এই সংখ্যা বাংলাদেশী মোট প্রবাসীর প্রায় ৮০ শতাংশ। সৌদি আরবে বাংলাদেশী প্রবাসীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় রেমিটেন্সের হারও বেশি। তবে প্রবাসীদের অধিকাংশই শ্রমিক। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা না থাকার কারণে অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে কম আয় করেন বাংলাদেশীরা। দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারলে রেমিটেন্সের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
সর্বশেষ গত বছরেও (২০১৭) সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক জনশক্তি রপ্তানি করা হয় সৌদি আরবে। এর মধ্যে নানান জটিলতায় অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন। তবে সেই সংখ্যা রপ্তানিকৃত জনসংখ্যার চেয়ে অনেক কম।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।