প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : হিজাব পরেন শুনে খুশি হলাম। এটি আল্লাহর ফরজ হুকুম। যেহেতু কলেজে আসা-যাওয়া করতেই হয়, চেষ্টা করবেন কোনো মহিলা বা শিশুর পাশে বসতে। কমপক্ষে সুন্নতি লেবাস পরা ব্যক্তিত্ববান ও বয়সী মানুষের পাশে বসাও ভালো। যারা নারীর সম্মান বোঝে না, তারাই যৌন হয়রানি করে। চলাচলে এদের সাথে বসতেই হয়। যতদূর পারেন নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে প্রতিবাদ ও হৈ চৈ করবেন। এসব ভবিষ্যত বিপদ বা অনিরাপত্তার কারণ হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি আপনি বেশি বুঝবেন। আল্লাহর কাছে এসব লোকের শাস্তি বড়ই কঠোর। তাদের শাস্তি ডাবল হবে। এক. ইচ্ছা ও আচরণে ধর্ষণের পাপ। দুই. একজন মানুষকে কষ্ট দেয়ার পাপ। শরিয়তে এ দু’টোই হারাম। আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা ত্রু টিযুক্ত হওয়ায় আপনার ও আপনার মতো লাখো নারীর কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ইসলামি ব্যবস্থা কার্যকর থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে এসব অসভ্যকে সোজা করে ফেলা হতো।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।