পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনার ভাংচুর করেছেন জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় নোমান ও জোবায়ের আল মাহমুদ নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। গতকাল দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্ত্বর ও ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘঠে।
জানা যায়, গত শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানবিক শাখার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা থেকে আগত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক পরীক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে দুপুর সাড়ে বারোটায় সমাজকর্ম বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামের অনুসারী নোমাককে সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মীরা মারধর করে। মারামারির এক পর্যায় নোমানের মাথা ফেটে যায়। পরবর্তীতে দুপুর ১টায় সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী জোবায়ের আল মাহমুদকে মারধর করে। এসময় উভয় গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আহত দুই শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে, দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত শহীদ মীনার ভাংচুর করে জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আবার সেটা মীমাংসা হয়ে গেছে। সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, নোমান নামের এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মীনার ভাঙচুর করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত সব কিছুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করলে তারা কখনই ছাড় পাবে না। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।