Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৬১২ নম্বর কেবিনে খালেদা জিয়া

কারাগার থেকে হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড পুনর্গঠন, বৈঠক আজ রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিকিৎসা : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার পর অবশেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা, দাবি ও বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোর পর গতকাল (শনিবার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে নীল কালারের পাজারো জীপে করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের কেবিন ব্লকে আনা হয়। এর আগে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে আসার জন্য পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের একটি পেট্রোল কারে করে তাঁকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়। পাশে ছিল পুলিশের চারটি গাড়ি কর্ডন। খালেদা জিয়াকে আনার পথে পথে দলের নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেত্রীর প্রতি হাত নেড়ে সম্মান জানান। তাকে নিয়ে কারাগার থেকে রওয়ানা হওয়ার পরপরই কেবিন ব্লকের মূল গেটে রাখা হয় হুইল চেয়ার। খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই প্রস্তুত করা হয় কেবিন ব্লকের ৬১১ ও ৬১২ নম্বর কেবিন। তিনি কারাগার থেকে আসার আগেই সেখান থেকে পুলিশ পিকআপে করে তার বিছানা ও বেডসহ বিভিন্ন সামগ্রি নিয়ে আসে। ৩টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি কেবিন ব্লকের সামনে এসে দাঁড়ালে বিএসএমএমইউর পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হারুন অর রশীদসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। গাড়ি থেকে তিনি নেমে হুইল চেয়ারে উঠেন। হুইল চেয়ারে করে তাকে কেবিন ব্লকের ছয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ছয় মাস আগে খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে যখন নেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি হেঁটেই লিফটে উঠেছিলেন। কিন্তু শনিবার তাকে হুইল চেয়ারে করে নেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী উপস্থিত হন। হাসপাতাল প্রাঙ্গনে নেতাকর্মীর বাইরেও রোগীরা আত্মীয় স্বজনরা বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন। হাসপাতালে ভেতরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, একেএম আজিজুল হক, ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, সানাউল্লাহ মিয়া, নাজিমউদ্দিন আলম, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, শায়রুল কবির খান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ’র কেবিন ব্লকের ৬১২ নম্বর কক্ষে ভর্তি করার পরপরই তাকে দেখতে আসেন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডাঃ আবদুল জলিল চৌধুরী।
মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠন: হাইকোর্টের নির্দেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত মেডিকেল বোর্ডে প্রধান হিসেবে আগের মতোই রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর আবদুল জলিল চৌধুরী। গতকাল বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তির পর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠনের কথা সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, পুনর্গঠিত মেডিকেল বোর্ডে সদস্য রয়েছেন রিউমেটোলজি বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, অর্থোপেডিক বিভাগের প্রফেসর নকুল কুমার দত্ত ও ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর হারিসুল হক, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী ও চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী। তিনজন চিকিৎসককে বাদ দিয়ে তাদের স্থানে নতুন তিনজনকে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠিত হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ড বসছে আজ: বেগম খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তির পরপরই তাকে দেখতে যান তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডাঃ আব্দুল জলিল চৌধুরী। আজ দুপুরে এই বোর্ডের ৫ সদস্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ ভর্তি করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর বোর্ডের প্রধান ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাঃ আব্দুল জলিল চৌধুরী তাকে দেখেছেন। আগামীকাল (আজ) দুপুর ১ টায় তারা বোর্ড মিটিং করবেন। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে। তিনি বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারারক্ষী, আনসার সদস্য ও পুলিশের সমন্বয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে পরিবার বা স্বজন বা গৃহপরিচারিকা কেউ থাকবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী যা করার তাই করা হবে। কারাগারে তার সঙ্গে যারা ছিল, এখানেও তারা থাকবেন।
খালেদা জিয়াকে কেমন দেখেছেন- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) মেডিকেল বোর্ডের সভার পর আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল কি না- প্রশ্ন করা হলে বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, উনি কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কুশল বিনিময় করেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দেখা করেছেন এবং উনার সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএসএমএমইউর অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল করীম মানিক ও সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন সরকারও পরিচালকের সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে যেকোনও রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। খালেদা জিয়ার ব্যাপারে পেশেন্ট রাইট বলে একটা কথা আছে সেটা লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা দেখেছি খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে আনা হয়েছে। তাকে যে গাড়িতে করে আনা হয়েছে সে গাড়িটি হুইল চেয়ারে বসার জন্য উপযুক্ত না। তাকে হুইল চেয়ারে বসার উপযুক্ত জিপ গাড়িতে আনা যেত। জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে কেবিনে ঢোকানোর পরে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকের নাম আমরা শুনেছি। তাদের নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে। কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, তিনি বিএনপি মহাসচিবকে ভুল সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অসুস্থ করারও অভিযোগ রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, পাঁচজনের মেডিকেল বোর্ডের তিনজন স্বাচিপের (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) আজীবন সদস্য। ওনাকে (খালেদা জিয়াকে) হাসপাতালে ভর্তির আগে পাঁচজনের মেডিকেল বোর্ড কীভাবে গঠন করা হলো সেটা নিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
এর আগে ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রিট করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনাসহ তাঁর চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পুরান ঢাকায় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।
গত ৪ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করতে ও চিকিৎসাসেবা শুরু করতে পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসক আব্দুল জলিল চৌধুরী ও বদরুনেসা আহমেদ এ বোর্ডে থাকবেন। আদালত এও বলেছেন, আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) তাঁর পছন্দ অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্ট, গাইকোনকলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান নিতে পারবেন। তবে বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি বাইরে থেকেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনতে পারবেন।
গত ৮ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত। কারাগার যাওয়ার পর গত ৯ এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একবার তাকে বিএসএমএমএউতে আনা হয়েছিলো। চার ঘন্টা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আবার কারাগারে তাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তরের দাবি উঠলেও সরকারের পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউতে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। তবে বিএনপি যেমন এই প্রস্তাবে রাজী হচ্ছিল না, তেমনি খালেদা জিয়ার অসম্মতি দেখিয়েছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে দ্রুত স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। #

ডাক্তার মামুন কই?
বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ’র কেবিনে নেয়ার পরপরই তার সাথে দেখা করতে যান মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী। ডা. আব্দুল জলিল বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে তার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর জানতে চাইলে প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করেন- ডাক্তার মামুন কই? সে কোথায়? এখানে আসেনি কেন? তিনি জিজ্ঞেস করার পর ডা. আব্দুল জলিল বেগম খালেদা জিয়াকে জানান ডা. মামুন রাতেই তার সাথে দেখা করবেন। গতকাল ডা. আব্দুল জলিল ইনকিলাবকে জানান, আমি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে গেলে তিনি প্রথমেই জানতে চান- ‘ডাক্তার মামুন কই’। পরে আমি উনাকে বলেছি ‘ম্যাডাম আজকে আপনি এসেছেন, আপনার শরীরের অবস্থা কী- আমরা খোঁজখবর নিতে এসেছি। রাতে ডা. মামুন এসে আপনার সাথে দেখা করবে। আর আপনি চাইলে তিনিও মেডিকেল বোর্ডের সাথে থাকবেন। পরে খালেদা জিয়া তার স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে ডা. জলিলের সঙ্গে কথা বলেন। ডা. আব্দুল জলিল জানান, খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডকে বলেছেন- আগের সমস্যগুলো এখনো আছে। হাতে, পায়ে ও কোমরে ব্যথা। শরীর কাঁপে, একা একা বসতে-উঠতে পারেন না তিনি। তিনি জানান, বোর্ডের সদস্য রোববার বৈঠকে বসবে, সেখানে ডাক্তার মামুনকেও রাখা হতে পারে। তিনি থাকলে বেগম জিয়ার চিকিৎসা দেয়া সহজ হবে।



 

Show all comments
  • Arif ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ২:১৩ এএম says : 1
    Allah jeno takey druto susto kore den
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:৪৭ এএম says : 0
    Begom ziake jevabe polish ghere rekhese 7murderer ashamidero evabe polish ggere rakhena brong tader jamai adore masher por mash hashpatale rakha hoy..i
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ