পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে নেয়া হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হচ্ছিলেন খালেদা জিয়া, শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পথে পথে, রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে যান কর্মী-সমর্থকরা। শুধু নেত্রীকে একটু দেখা যায় কিনা। বেলা পৌনে ৩টায় কঠোর নিরাপত্তার মাঝে বেগম খালেদা জিয়াকে নেয়া হয় হাসপাতালে। মৎস্য ভবনের সামনে কয়েকশ’ কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন, এ সময় পুলিশ ট্রাফিক জ্যামের অজুহাতে তাদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিতে দিতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। একইভাবে হাইকোর্টের সামনে কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় মিছিল হয়নি।
কাকরাইল মসজিদের সামনে কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকলে পুুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। হোটেল সাকুরা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, পরিবাগ এলাকায় হাজার-হাজার নেতাকর্মী সমর্থক রাস্তার দু’পার্শ্বে দাঁড়িয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালের পশ্চিমপার্শ্বে কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হলে পুলিশ বাধা দেয়, পরে লাঠিচার্জ করে। পরিবাগ এলাকায় বিএনপি কর্মী জসিম উদ্দিন জানান, নেত্রীকে দেখতে পারলাম না। পুলিশ রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি। পুলিশের লাঠির আঘাতে আমাদের বন্ধু তছলিমুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছে। বারডেম হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটওভারব্রিজের নিচে বিএনপির শতাধিক কর্মী জড়ো হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে পুলিশ তাদের ওপর আবার হামলা চালায়। আহত জালাল আহম্মদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কি অপরাধ করলাম, নেত্রীর প্রতি ভালোবাসার কারণে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম। বারডেম হাসপাতালে আউটডোর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যবস্থাপত্র হাতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি। পুলিশ আবারও আমাকে মেরেছে। কিছু বলার নেই। এভাবে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার দু’পার্শ্বে উৎসবমুখর সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। পুলিশি বাধা, গ্রেফতার, বৃষ্টিও থামাতে পারেনি খালেদার প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।
উল্লেখ্য, পুলিশ সকালে ঐ সব এলাকার বেশ ক’টি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছিল। বেলা ১১টায় আবার সড়কগুলো খুলে দেয়। দুপুর আড়াইটায় পুনরায় ঐ সব সড়ক বন্ধ করে দিলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে পথচারী যাত্রী সাধারণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।