পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরে কাজ করার পর দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে পাস হওয়া আইনটি রাষ্ট্রের গোপনীয় রক্ষায় যুগোপযোগী একটা সুরক্ষিত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। রাজধানীর লাভিন্সি হোটেলে গতকাল (শনিবার) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওর্য়াক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)’র উদ্যোগে ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও তথ্যের নিরাপত্তা’ সুরক্ষা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেকিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন টিআরএনবির সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার সমীর কুমার দে। পরে ব্যরিস্টার আশরাফুল হাদী এ সংক্রান্ত তথ্যবহুল একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে তথ্য-প্রযুক্তির কার্যক্রম হাতে নেয়। এটা ২০০১ সাল পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চলেছিল। এর আগে কোন সরকারের মাথায় ডিজিটাল চিন্তা ছিল না। কিন্তু ক্ষমতা পরিবর্তে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন করে এ উদ্যোগকে পিছিয়ে দেয়। ২০০৯ সালে আবার পুনরায় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার সরকার গত ১০ বছরে এখাতে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ২০০৬ সালে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা এ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। কিন্তু এই নিরাপত্তা এ্যাক্ট দিয়ে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে গত তিন বছর ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে কাজ করা হয়। এতে বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়। প্রণীত আইনে রাষ্ট্রের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইতিবাচক আইন।
হ্যাকারদের ভয়াবহকতার চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিক চিন্তায় করতে পারবে না, রাষ্ট্রীয় সংস্থার তথ্য (ডেটা) চুরির জন্য হ্যাকাররা একদিনে ৬ হাজার বার হামলা চালিয়েছে। ডিটিজাল নিরাপত্তা আইন এগুলোকে সুরক্ষা দেবে। কারণ ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এই আইনে সিআরপিসিকে অন্তভর্‚ক্ত করা হয়েছে, যোগ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি এই মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশকে সন্দেহভাজন অপরাধে অবাধ গ্রেপ্তারের সুযোগ রাখা হয়েছে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে হয়রানি হওয়ার ভয় নেই। কারণ পুলিশ চাইলে ৫৪ ধারায় যে কাউকে আটক করতে পারে। তবে, সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মতিতে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আর বিনা অপরাধে কোনো সাংবাদিককে যাতে হয়রানি করতে না পারে পুলিশ সেজন্য সম্প্রচার আইনে একটা বিধান অন্তভর্‚ক্ত করা হবে; তাহলে এ আইন নিয়ে সাংবাদিক সমাজের যে উদ্বেগ তা আর থাকবে না।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহরুল হক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআইয়ের হেড অব টেকনোলজি অফিসার আরফে এলাহী, টেলিটকের এমডি শাহাবুদ্দীন আহমেদ, রবির হেড অব করপোরেট অ্যাফের্য়াস শাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অফিসার হোসেন সাহাদৎ, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরির অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টাস এসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ফারহান আহমেদ ও বিটিআরসির ব্রি. জে. মোস্তফা কামাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা সবাই মোবাইন সেবা গ্রাহকদের ডিভাইস সুরক্ষিত করা, ডেটার হ্যাক বন্ধে শক্তিশালী প্লাটফর্ম না থাকা এবং নিয়মনীতির মধ্যে ফেসবুক, গুগল, হোয়াটঅ্যাপ ও টুইটারগুলো পরিচালিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।