পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গংগাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : আনুষ্ঠানিকভাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দেশে ২৮ টাকা কেজি দরে গম ক্রয়ের ঘোষণা দিলেও গম বিক্রি নিয়ে এখনো শঙ্কায় রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় কৃষকরা। মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে ২ লাখ টন গম ক্রয় করার কথা কৃষকের কাছ থেকে। কিন্তু এমন আশায় আলো কয়জন কৃষক দেখবেন তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এ বছর ১৬০ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে। অর্জিত হয়েছে ১৮৫ হেক্টর জমিতে সেই তুলনায় লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে গেছে। আর এ থেকে উৎপাদন হয়েছে ৬১০ মেট্রিন টন। এ অঞ্চলের মাটিও আবহাওয়া গম চাষের উপযোগী ও স্বল্প খরচ হয় বলেই প্রতিবছরে সরকারিভাবে বিনা মূল্যে গমবীজ ও সার বিতরণ করার ফলে গমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গম উৎপাদনের পর কৃষক মজুদ করতে না পারায় তেমন একটা দাম পায় না কৃষক। মজুদ করা গেলে কৃষক আরো বেশি লাভবান হতো। কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে গম আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ গম উৎপাদন হয়েছে ২৫ মন পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ গম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত। এতে গম আবাদ করে তেমন একটা লাভ হচ্ছে না। প্রতিবছর সরকারিভাবে গম ক্রয় করা হলে ও কৃষকের গোলায় তখন গম থাকে না। দেরিতে গম ক্রয়ের ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে না। এতে করে প্রকৃত কৃষকরা সরকারি বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আরো ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। কৃষক কৃষি কার্ডের মাধ্যমে গম দিবেন গুদামে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস ছালাম খন্দকার বলেন, এ বছরে সরকারিভাবে ৬৮ টন গম কেনার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উৎপাদনের চেয়ে বরাদ্দ অপ্রতুল। সরকারিভাবে নির্দেশনা মোতাবেক সময়মত প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে গম সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হলে কৃষক লাভবান হবে বলে প্রতিবেদক মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।