পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : কয়েক দফায় কৃষকেরা ধান-গমের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় টমেটো আবাদে ঝুঁকছেন। গত বছরের তুলনায় এবার পঞ্চগড়ে তিন গুণ বেশি জমিতে কৃষকেরা টমেটোর আবাদ করেছেন এমন তথ্য পাওয়া গেছে এলাকা ঘুরে। ইতিমধ্যে কৃষকেরা টমেটো বিক্রি শুরুও করেছেন। শুরুতে টমেটোর দাম একটু কম হলেও কিছুদিনের মধ্যে দাম বেড়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা। তবে এখনো দাম কম নয়। বাজারে ১৬-২০ টাকা দরে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে। কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মৌসুম ধরে আমন, বোরো ধান ও গম আবাদ করে কৃষকেরা উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না। এ কারণে ধানের আবাদ না করে এবার অনেক কৃষক টমেটোর আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে গ্রামে-গঞ্জের টমেটোর আড়তগুলো সচল হতে শুরু করেছে। কেউ নতুন আড়তের জন্য ঘর মেরামত করছেন। বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এসব আড়ত ভাড়া নিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে টমেটো কিনবেন। আর আড়তে পাকানোর পর প্যাকেটজাত হয়ে এই টমেটো চলে যাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি স¤প্রাসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার জেলায় ২ হাজার ২৫২ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। গতবছর ছিল মাত্র ৭৫০ হেক্টর। সাধারণত শীতের শেষে বীজতলায় চারা লাগালেও এর ফলন আসে গ্রীষ্মকালে। তাই অনেকে এটিকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো হিসেবেই চেনে। আর কৃষকেরা চেনেন শুধু হাইব্রিড হিসেবে। এ জেলায় সবচেয়ে বেশি হাইব্রিড টমেটোর আবাদ হয় পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ, হাঁড়িভাসা, চাকলাহাট, কামাত কাজলদিঘি, অমরখানা ও সদর ইউনিয়নে। এর মধ্যে আগাম লাগানো গাছ থেকে টমেটো তোলা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। বাইরে থেকে এখনো ব্যবসায়ীরা না আসায় ব্যাপকভাবে টমেটো কেনা শুরু হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যে টমেটোর চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বাড়বে বলে আশা কৃষকদের। জানা যায়, অনেক এলাকায় ভাইরাসের কারণে জমির টমেটো গাছ তুলে ফেলে আবার নতুন করে চারা লাগাচ্ছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ স্প্রে করেও কোনো কাজে আসছে না। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, পঞ্চগড়ের মাটি টমেটো চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সেইসঙ্গে কৃষকদের কাছে এটি লাভজনক ফসল। এই সময়টাতে দেশের অন্য কোথাও চাষ না হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত টমেটোর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। এদিকে, এখানাকর কৃষকরা বর্তমানে টমেটোর পরিচর্যায় ব্যস্ত। কারণ ধানে লাভ না আসায় আপাতত টমেটোতে পুষিয়ে নিতে চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।