Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ৫৭ ধারার চেয়েও ভয়াবহ’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের গলাটিপে ধরতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এ আইন ৫৭ ধারার চেয়ে আরও ভয়াবহ। সরকারের দুর্নীতি যাতে ফাঁস না হয় সে জন্য এই আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করার উদ্যোগ বাতিলের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশ শেষে সংগঠনটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে । একই সাথে সমাবেশ থেকে তারা ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা মারুফ হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সংশোধনীগুলোর প্রস্তাব করা হয়েছিল, তার কোনোটিই বাস্তবায়ন করা হয়নি। এই আইনে দুর্নীতি ফাঁস করার চেষ্টার জন্য সাংবাদিকরা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মুখোমুখি হতে পারেন, যেখানে দুর্নীতির শাস্তি অনেক গুণ কম। তিনি বলেন, একদিকে সরকার আইন করছে ফৌজদারি মামলাতেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার করা যাবে না, অন্যদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তল্লাশির পরোয়ানা ছাড়াই যে কাউকে গ্রেপ্তার ও তল্লাশি করার অধিকার পুলিশের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। যে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাকটে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, সেই আইন আরো ভয়াবহ পরিমাণে বেশি শাস্তির বিধানসহ চালু করা হচ্ছে বাংলাদেশে। জামিন পাবার মৌলিক মানবাধিকারকেও ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫৭ ধারায় এখনো গ্রেপ্তার আছেন শহিদুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, ৫৭ দিন ধরে আটক আছেন ছাত্র ফেডারেশন নেতা মারুফ হোসেন।
৫৭ ধারাকেই কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আরো বেশি শাস্তির বন্দোবস্তসহ এই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং ৫৭ ধারাতে করা সকল মামলা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা জুলহাসনাইন বাবুর পরিচালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ