Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

এরশাদের গতিপথ এবং মানুষের প্রত্যাশা

প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : দেশের রাজনীতির যা হালচাল তাতে দেশের মানুষ রাজনীতিকদের কাছে ভাল কিছু আশা করেন এটা হলফ করে বলা দুষ্কর। ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর ’৭২ থেকেই রাজনীতিকদের প্রতি মানুষের আশাভঙ্গ শুরু হয়। বর্তমানে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, বড়-ছোট দলগুলোর নেতাদের চিন্তা-চেতনা কোনো কিছুই আজ আমজনতার পক্ষ্যে যায় না। এমনকি তাদের অনেক কর্মকা- জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে যায়। তারা যা করেন তা হয় ব্যক্তি স্বার্থে নয়তো দলের স্বার্থে। দেশের স্বার্থে বা সাধারণ মানুষের স্বার্থে তাদের কর্মতৎপরতা তেমন দেখা যায় না। যদিও মুখে সকলেই দেশপ্রেমের স্তুুতি গাইতে অভ্যস্ত। উন্নয়নের রাজনীতির নামে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্রের যে হাল করেছে তাতে ১৪ দলীয় জোটের বাইরে রাজনীতি করার সুযোগও বর্তমানে তেমন নেই। এক সময় সংবিধানিকভাবে আইন করে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ’৭৮ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন রাজনৈতিক বিবর্তন এবং সময়ের কারণে এখন সে সুযোগ না থাকায় কৌশলে ‘ভোটের অধিকার’ চাপা দিয়ে জনগণকে ক্ষমতাহীন করে রাখা হয়েছে। দল দরদী আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং নিজস্ব গো-া-হোন্ডা দিয়ে অপরাপর রাজনীতিকে ঠেঙ্গিয়ে খোয়াড়ে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ইচ্ছা করলেই এখন গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব নয়। তারপরও কথা থাকে; থাকে ব্যক্তির প্রতি মানুষের চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশা। যদিও দেশের এ ধরণের মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কারণ যাদের প্রতি মানুষের ভরসা সেই বুদ্ধিজীবী, সুশীল, শিক্ষাজীবী, পেশাজীবীরা পচে গলে গেছেন; তাদের গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়। রুই মাছের মাথার পচনের মতোই। তারপরও কথা থেকে যায়। কিছু কিছু মানুষের ওপর সুবিধাবঞ্ছিত মানুষ কিছু প্রত্যাশা করেন। তেমনই একজন মানুষ সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
প্রশ্ন হলো এরশাদ কি দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করবেন? নাকি গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে জীবনের পড়ন্ত বিকেল শেষ করবেন? এরশাদের বয়স প্রায় ৮৬ বছর। এ বয়স মানুষের জীবনে কম নয়। প্রবাদে আছে ‘মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নহে’। ঋষি-মুণি, পীর-আউলিয়া, বিজ্ঞানী-আবিষ্কারক, সমাজ সংস্কারক-রাষ্ট্রনায়করা বেঁচে থাকেন তাদের কর্মের মধ্যে। হিটলার, মীর জাফর আলী খাঁ যেমন ‘অপকর্মের’ কারণে মানুষের মধ্যে বেঁচে রয়েছেন; তেমনি নেপোলিয়ন, নবাব সিরাজ দৌল্লা, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল, সক্রেটিস, আল্লামা ইকবাল, শেখ সা’দীরা বেঁচে রয়েছেন তাদের সুকর্মের কারণেই। মানুষ তাদের স্মরণ করেন কর্মের কথা মনে রেখেই। বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে কূকর্মের যে চর্চা চলছে; তাতে রাজনীতিতে মীর জাফরের সংখ্যাই বেশি। মীর জাফর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লর্ড ক্লাইভের কাছে মাথা বন্ধক রেখে পলাশির প্রান্তরে সিরাজ দৌল্লার পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলার সূর্য্য ডুবিয়ে দেন। এখন দিল্লীর কাছে মাথা বন্ধক রাখায় রাজনীতিকরা ভারত তোষণ প্রতিযোগিতা করেন; বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। এখন তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্ত হত্যা, দেশের বুক দিয়ে ভারতকে করিডোর দেয়া, টিপাইমুখে বাঁধ দেয়া, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করেন না। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ এখন প্রগতিশীলতার নামে আকাশ সাংস্কৃতির আমদানির এজেন্সি নিয়ে দেশের তরুণ-তরুণী ও যুব সমাজকে নষ্ট করছে। অথচ ইউএনডিপির মানবসম্পদ উন্নয়ন রিপোর্টে বলা হয়েছে বাংলাদেশ তরুণদের কারণের সম্ভাবনার দেশ হয়ে উঠেছে। কারণ বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে জনসংখ্যায় অনুপাতে তরুণের সংখ্যা বেশি। এই তরুণ-তরুণীদের কর্মঠ করতে পারলে দেশের অগ্রগতি ঠেকানো যাবে না। সম্ভাবনাময় সেই তরুণদের জীবন ধ্বংস হচ্ছে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসা ভারতীয় মাদকে। ধীরে ধীরে দেশের তরুণরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছেন; মাদক সেবনের কারণে ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যাচ্ছে তাদের মেধা শক্তি; সেদিকে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। রাজনীতিকদের লক্ষ্যই যেন ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
দেশের শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। হাজার বছর আগে এ ভূখ-ের মানুষ যে ধর্মের দিক্ষিত হোক না কেন, পীর-মশায়েখ, অলি-আউলিয়াদের মাধ্যমে এ অঞ্চলে ইসলাম এসেছে কয়েকশ’ বছর আগে। এদেশের মানুষ ধর্ম ভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম এবং বসবাসরত ৯২ ভাগ মানুষ মুসলিম হলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের ধর্মীয় বিষয়াদি সব সময় থেকেছে উপেক্ষিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেন। সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে এলেও অল্পদিনের মধ্যে গণমানুষের নেতা হয়ে উঠা জিয়া বেশিদিন বেঁচে ছিলেন না। তার ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রতিটি গ্রাম হয়ে যেত উন্নয়নের মডেল। আপনি (এরশাদ) যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা গ্রহণ করেন না কেন সাংবিধানিক ভাবে রাষ্টধর্ম ইসলাম করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদ গঠন করে গ্রাম বাংলার উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত করা হলেও বড় দল দুটি (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পরে উপজেলা পরিষদ পুনঃপ্রবর্তন করেন। গ্রাম বাংলার রাস্তাঘাট-ব্রীজ, স্কুল-কলেজ উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। আপনাকে যতই স্বৈরাচার বলা হোক না কেন দেশের আর্থ সামজিক ও মানুষের জীবন মান উন্নয়নে আপনি এখনো রোল মডেল। তবে আপনার কথাবার্তায় ধারাবাহিকতা না থাকা এবং আনপ্রেডিক্টেবল হিসেবে পরিচিতি আপনার রাজনীতির গতিপথ আঁকাবাঁকা করে দিয়েছে। মানুষ আপনার কথায় বিশ্বাস রাখতে পারেন না। বর্তমানে আপনার স্ত্রী গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে আপনার যে মতভেদ হচ্ছে সেটা নিছক ক্ষমতার রস-কষের জন্য। ’৯০ দশকের প্রথমাধ্যে আপনি যখন কারাগারে থেকে ৫টি আসনে নির্বাচন করে প্রতিটি আসনে বিজয়ী হন তখন মানুষ আপনার দলের নেতারা আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যত উজ্বল মনে করতো। কিন্তু আপনি জেলে থেকে দলের কা-ারীখ্যাত মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও কাজী জাফর আহমদকে যে চিঠি পাঠিয়ে বেগম রওশন এরশাদকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করার নির্দেশনা দেন; নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে তিন প্রবীণ নেতাই তার বিরোধিতা করেছিলেন। তারপরও আপনি যে নির্দেশ দেন তা দলের দায়িত্বশীল নেতারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। সেদিনের আপনার ভুলের মাসুল আপনি দিয়েছেন ১/১১ সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস আগে। তখন বেগম রওশন এরশাদ নিজেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আপনাকে দল থেকে বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে কিছু নেতার বিরোধিকা সত্ত্বেও আপনি বেগম রওশন এরশাদকে দলের গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা বলে ফিরিয়ে নেন। তখন থেকেই কার্যত আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আপনার বিরোধ। ওই সময় রওশন এরশাদ আপনাকে বাদ দিয়ে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে ২২ জানুয়ারীর নির্বাচনে অংশগ্রহণে করেছে। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার সে নির্বাচন বাতিল করে দেয়। আবার ২০১৩ সালে আপনি যখন বৃহৎ জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন; তখন আপনার স্ত্রী রওশন এরশাদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে পাতানো নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে দেশবাসীর দৃষ্টি যখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে; তখন সুস্থ এরশাদ কৃতিম অসুস্থ হয়ে যান। আপনাকে আইন-শৃংখলা বাহিনী চিকিৎসার জন্য সিএমএইচ এ নিয়ে যায়। এক মাস আপনার চিকিৎসাধীন থাকা, অসুস্থ অবস্থায় গলফ খেলার ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ করা, গোপনে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়া সব চিত্র-বিচিত্র খবর মানুষ নিজেদের মতো করে মূল্যায়ন করেছে-করছে। হয়তো আপনার হাত-পা বাঁধা ছিল। আপনার নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে এবং আপনার নির্দেশ পালনে যারা সেদিন নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মনোনয়নপত্র তুলে নেন তারা দলে এখন চরম অবহেলিত। অথচ আপনার নির্দেশ অমান্য করে যারা সেদিন নির্বাচনে থেকে যান সেই পাতি নেতারা এখন ছারপোকা মতো আপনাকে ঘিরে রেখেছে। আপনি যেন তাদের হাতের পুতুল! যারা সেদিন আপনার নির্দেশ পালন করতে মরিয়া হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তাদের জন্য কি আপনার মন কাঁদে না? আপনার আচরণেতো মনে হয় আপনি বেশি উদগ্রীব যারা সেদিন আপনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ভোট করেছে তাদের নিয়ে। আপনার বেতনভুক্ত কর্মচারী ও উপনেতা পাতি নেতারা আঙ্গুল ভুলে যে কলাগাছ হয়েছে তা কি এমনি এমনি? আপনার কর্মচারী কাম নেতারা রিকশার ভাড়া দিতে পারতো না তারা এখন দামি গাড়ী হাকান, ফ্লাট বাড়ি, মার্কেটের মালিক হন কিভাবে? আর যারা সেদিন নির্দেশ মেনে নির্বাচন থেকে সরে গেছে তারা কেন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন! এ কেমন নীতি আপনার? তারপরও মানুষ আপনাকে মনে রাখছে। কারণ আপনি ইসলামপ্রেমী। হেফাজতের সমাবেশে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক শীর্ষ নেত্রী যখন ঘরে বসে থাকেন; তখন আপনি মতিঝিলের প্রখর রোদ্রে দাঁড়িয়ে মানুষকে পানি খাইয়েছেন। আপনার নামে মানুষ খাবার পরিবেশন করেছে। আপনি একমাত নেতা যিনি অন্যের চোখ রাঙ্গানী উপেক্ষা করে ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। যার জন্য আমজনতা আপনাকে পছন্দ করেন।
এইচ এম এরশাদ ইদানিং বেশ কিছু বক্তব্য দিয়েছেন যা মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে। আপনি (এরশাদ) যতই দাবি করেন মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছে; বাস্তবতা উল্টো। যদি এ মুহূর্তে নির্বাচন হয় তাহলে আপনি রংপুর-৩ আসনেও বিএনপি-জামায়াতের কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হবেন। এ বাস্তবতা রংপুরের নেতাকর্মী সবাই জানেন। তবে আপনার কাছে মানুষ অনেক কিছু প্রত্যাশা করেন। আপনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে আপনার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে সুনামী। হাজারো ঝঞ্ঝাটও আপনি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের বিশ্বাস থেকে এক চুলও নড়েননি। এটাই আপনার এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পুঁজি। এই পুঁজি ব্যবহার করে আপনি গণমানুষের প্রত্যাশা, আশা-নিরাশার কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক পথ মত ঠিক করলে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। বিশ্বের মানুষ মীর জাফরকে মনে করেন আবার নবাব সিরাজ উদ্দৌলাকে স্মরণ করেন। দু’জনকে ভিন্ন ভিন্নভাবে স্মরণ করা হয়। পৃথিবীকে কেউ বেঁচে থাকবে না। এই বয়সে আপনি যে ভাবে কাজ করেন এবং দৌঁড়াদৌড়ি করেন তা আপনার অর্ধেক বয়সের মানুষের পক্ষে করা দুরূহ। অথচ আল্লাহ আপনারকে সুঠাম দেহ ও সুস্থ রেখেছেন। হয়তো আল্লাহ আপনাকে দিয়ে এ দেশের মানুষের জন্যই ভাল কিছু করবেন। চাপ আসুক, ঘরে বাইরে ঝড় উঠুক আপনি যদি আমজনতার পক্ষে থেকে যান তাহলে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। তা না হলে....।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরশাদের গতিপথ এবং মানুষের প্রত্যাশা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ