পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত রোববার মহাখালী আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে চলতি মওসুমের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫২২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫০২, ৪৮৪ ও ৫১৫ জন। আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের ডায়রিয়াল ডিজিজ ইউনিট প্রধান ডা: আজহারুল ইসলাম খান বলেন, দেশে বর্তমানে ডায়রিয়ার পিক মওসুম (বছরে দুইবার মার্চ-এপ্রিল ও আগস্ট-সেপ্টেম্বরকে ডায়রিয়ার পিক সিজন ধরা হয়) চলছে। গত দুই-তিন বছরের ডায়রিয়ায় রোগীর সংখ্যানুপাতে কয়েক দিন আগ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
তিনি জানান, গত সপ্তাহের শেষ দিন থেকে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী, তেজগাঁও ও বাড্ডা এলাকা থেকে বেশি রোগী আসছে। বিশেষ কোনো কারণে ওই সব এলাকা থেকে বেশি সংখ্যক রোগী আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সব এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। বিপুল সংখ্যক নিম্ন আয়ের লোক এসব এলাকায় বসবাস করে।
ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ এবং মূলত বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটের কারণেই ওই সব মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে খাবারে দ্রুত পচন ধরছে। সেই খাবার খেয়েও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ রাস্তাঘাট ও ফুটপাথে অস্বাস্থ্যকর শরবত পান করেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ডা: আজহারুল বলেন, সাধারণত বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বা পরবর্তী কয়েক দিন রাজধানীসহ সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু চলতি বছর এখনো পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হয়নি। গত কয়েক দিন যাবৎ টানা দাবদাহ চললেও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়ানোসহ কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাখাওয়াত হোসেন জানান, বর্তমানে দেশের ১৮টি জেলায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব চলছে।
গত সাত দিনে সারাদেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫৫ জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমেÑ ৪৬৫, ৪৪৫, ৪৬৮, ৫০২, ৪৮৪, ৫১৫ ও ৫২২ জন।
তাপদাহ বাড়বে সর্বত্র হাঁসফাঁস অবস্থা
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : তির্যক সূর্যের দহনে গনগনে রোদে পুড়ছে সারা দেশ। সহসা তাপপ্রবাহ হ্রাসের পূর্বাভাস নেই। বরং বৃষ্টিবিহীন তাপদাহ আরও বাড়বে। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে সর্বত্রই হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। মানুষ আকাশপানে বৃষ্টির আশায় চাতকের মতো চেয়ে আছে। কিন্তু মিলছে না প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা। চলতি বৈশাখ মাসজুড়ে খরতপ্ত আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৭ ও ২৮, চট্টগ্রামে ৩৩.৫ ও ২৯, সিলেটে ৩০.৭ ও ২১.৮, রাজশাহীতে ৪০ ও ২৪.২, রংপুরে ৩৭ ও ২০, খুলনায় ৩৬.৩ ও ২৮.২, বরিশালে ৩৫ ও ২৮ ডিগ্রি সে.। এ সময় শ্রীমঙ্গলে ১৩, রাঙ্গামাটিতে ৬ ও সীতাকু-ে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও অবশিষ্ট সমগ্র দেশ ছিল বৃষ্টিবিহীন টানা খরায়।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
দিনাজপুর ও সৈয়দপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর ও রংপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।